স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রিট খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিলের ওপর ২৭ নভেম্বর শুনানি হবে। আজ মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিয়া বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।

এর আগে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া রিট করলে হাইকোর্টে তা খারিজ হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তিনি।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

আদালত থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম চলবে না। তিনি জানান, অ্যাটর্নি জেনারেল নিম্নআদালতে যেন মামলার কার্যক্রম চলে, এজন্য আবেদন জানান। তবে আদালত তা নাকচ করে দিয়েছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল শুনানির অপেক্ষায় আছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি গতকাল সোমবার অনাস্থা জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী। তবে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক বাসুদেব রায় আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন এবং ওইদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুদকের উপপরিচালক হারুনুর রশিদ মামলাটি করেন।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুদক ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

এ বছরের ১৯ মার্চ এই দুই মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ অভিযোগ গঠন করেন।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৪, ২০১৪)