চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সোমবার বাল্যবিয়ের হাত থেকে এ যাত্রা রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী চামেলী খাতুন (১৪) ও সুমনা খাতুন (১২)।

বাল্যবিয়ে নামক সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত চামেলী অষ্টম শ্রেণী ও সুমনা ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।

জানা যায়, চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের বাবলু মিয়ার মেয়ে নিমাইচড়া বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী চামেলী খাতুনের বাল্যবিয়ে ঠিক হয় ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকার কালীবাড়ি মহল্লার মাসুদ রানার (২৩) সাথে। সোমবার ছিল বিয়ের দিন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নির্দেশে হান্ডিয়ার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই গাজী নুরুল ইসলাম চামেলীর বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে মুচলেকা নেয়।

অপর দিকে একই দিনে ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউপির দুধবাড়িয়া রায়পাড়া গ্রামে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম।

জানা যায়, ইউএনও শামছুল আলম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফজাল হোসেন ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ হোসেনকে সাথে নিয়ে ওই ইউনিয়নের ভাসমান প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে খবর পান বাল্যবিয়ের।

ওই গ্রামের আছের আলীর ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে সুমনা খাতুনের পার্শ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর বাজারের এমদাদুল হকের পুত্র শরিফের সাথে বিয়ের সম্পন্ন কার সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়। প্রশাসন মেয়েটির বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়েটি করেন। সুমনা ময়দান দীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, আছের আলীর মেয়ে সুমনা খাতুন তার বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী তার ক্লাশ রোল ২৪ এবং জন্ম তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারী ২০০৩ ইং। চামেলী ও সুমনার অভিভাবকরা প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেনা মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন।

(এসএইচএম/এএস/অক্টোবর ১৪, ২০১৪)