নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা : কুমিল্লার তিতাসে আওয়ামী লীগের বাহার ও ইব্রাহিম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ৯ টায় উপজেলার কলাকান্দি বাজারে উক্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে কলাকান্দি বাজারের প্রায় দু’শতাধিক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার প্রথম দফা সংঘর্ষের জের ধরে কলাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি বাহার উদ্দিন ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সদস্য ইব্রাহিম গ্রুপের মধ্যে সকাল ৯টায় কলাকান্দি বাজারে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।

এক পর্যায়ে বাহার গ্রুপের লোকজন হারাইকান্দি এবং ইব্রাহিম গ্রুপের লোকজন কলাকান্দি ও কালাচানকান্দি গ্রামে অবস্থান করে। প্রায় ৩ ঘন্টা উত্তেজনা বিরাজ করার পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষের সময় ইব্রাহিম গ্রুপের সবুজ, খোকন, বাছিত, রুফিয়া খাতুন, ফায়েজা আক্তার, মোস্তফা, কাদির, মনু মিয়া কবির এবং বাহার গ্রুপের আ. মালেক, শাহ আলম, ফয়সাল, দিদার, পারভেজ, শাহ আলম, লিয়াকত, আমির, পরিস্কার বেগম, ছাবিকুল নাহার আহত হয় বলে জানা যায়। এদের মধ্যে ইব্রাহিম গ্র“পের সবুজ ও বাহার গ্রুপের শাহ আলমকে গুরুত্বর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আ’লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন জানান, ইব্রাহিমের লোকজন কলাকান্দি বাজারে গিয়ে আমাদের লোকজনদের গালমন্দ করে। তাই আমার লোকজন ক্ষেপে গেলে উত্তেজনা বিরাজ করে।

অপরদিকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য ইব্রাহিম জানান, সকাল ৯টায় বাহার গ্রুপের লোকজন অতর্কিতভাবে কলাকান্দি বাজারে হামলা চালায় এবং দোকানপাট লুটপাট করতে অগ্রসর হলে আমার লোকজন তাতে বাঁধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিতাস থানার অফিসার ইনর্চাজ তারেক মো. আব্দুল হান্নান বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পূর্বের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দু’টি মামলা রুজু করা হয়েছে। শীঘ্রই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।

(এইচকেজে/এএস/অক্টোবর ১৪, ২০১৪)