বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মহম্মদপুর : মাগুরা মহম্মাদপুরে মৃত্যুর ৩৯ দিন পরে আবুবক্কার শেখ ওরফে ধনী বক্কার (৫৬) নামের এক ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার ধোয়াইল কবরস্থান থেকে লাশটি  উত্তোলন করে মর্গে মাগুরা পাঠানো হয়। 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বড়রিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবু বক্কার শেখ( ৬৫)( ধনী বাক্কার) গত ইং ২ অক্টোবর ভোর রাতে মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘ ৩০ বছর দেশের বাইরে থাকার সুবাদে স্ত্রী পরকীয়া এবং সন্তানরা নানা ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে এমন ঘটনার কথা জানতে পেরে দেশে আসেন আবু বক্কার শেখ। হঠাৎ ২- অক্টোবর ভোরে রাতে স্ট্রোকজনিত কারনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে বড় ছেলে সাগরকে জানান তার মা সীমা পারভীন। মৃত্যুর ১০ দিন পরে ১১ অক্টোবর পিতাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে ছেলে সিজান মাহমুদ সাগর বাদী হয়ে তার মা সীমা পারভীন সহ ৫ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করে বলা হয়, আবুবক্কার শেখ (ধনী বক্কারকে) চেতনানাশক খাইয়ে এবং শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আদালতের নিকট তার পিতার লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করেন। পরে আদালত লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটকে।

হত্যা মামলার বাদী বক্কার শেখ এর ছেলে সিজান মাহমুদ সাগর বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর সময় আমি একই বাড়িতে ছিলাম অন্য রুমে কিন্তু মা আমাকে ভোরের আজানের কিছুক্ষন আগে মৃত্যুর সংবাদ জানিয়েছে। আমার মা কয়েকজনকে সাথে নিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে শ্বাসরোধ করে আমার পিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি লাশ ময়নাতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উন্মোচনপূর্বক হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, মামলা হওয়ায় আদালতের নির্দেশেই ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

(বিএস/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০২২)