সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ছাত্রলীগের আসন্ন কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  কালিগঞ্জ ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কালিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বুধবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মহৎপুর গ্রামের জিএম কওছার আলী গাজীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জন্ম লগ্ন থেকে মাতৃ সংগঠণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাশে থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে মজবুত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সাংগঠণিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সামান্য ভুল ত্রুটি থাকলেও দেশ ও জাতির কল্যাণে ছাত্রলীগের ভূমিকা অপরিসীম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন ও বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংগঠণিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন।

এ ধারার অংশ হিসেবে ২০০৬ সালে কালিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তির পর থেকে গত বছর পর্যন্ত কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে আহবায়ক গৌতম লস্কর ও সদস্য সচীব মঈনুল হোসেনের দুর্ণীতির কারণে বহিষ্কার করে কমিটি ভেঙে দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করা হয়,কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিল অধিবেসন ‘আসন্ন। দিন তারিখ নির্ধারণ করা না হলেও তিনি সভাপতি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছেন। এজন্য সাংগঠনিক কাজ করে যাচ্ছেন। অপরদিকে বহিষ্কৃত নেতা গৌতম লস্কর একই পদে লড়াই করবে বলে প্রচার রয়েছে। তার পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের দু’ নেতা অবস্থান নিয়েছেন।

তার (সিরাজুল) সাংগঠণিক কার্যক্রম দেখে প্রতিপক্ষরা শুরু থেকেই হতোদ্দম হয়ে পড়েছে। তাই তাকে হারানোর জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য গত ১৩ অক্টোবর দৈনিক পত্রদূত পত্রিকা ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকায় ‘কালিগঞ্জে কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারী আটক, অতঃপর মুক্ত’ শীর্ষক একটি কাল্পণিক প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। পত্রিকা দু’টির কালিগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে যথাক্রমে নিয়াজ কওছার তুহীন ও কালিগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠণিক সম্পাদক ডিএম সিরাজুল ইসলাম প্রতিবেদনে কিছু মনগড়া লোকের নাম ব্যবহার করে ও মনগড়া কথা লিখে তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন।

এ ছাড়া ঘটনা সম্পর্কে তার সঙ্গে কোন কথা না বলেও প্রতিবেদকের মনগড়া বক্তব্য তার উদ্ধৃতি দিয়ে ছাপানো হয়েছে। যা’ কোন প্রচার মাধ্যমের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি। তিনি এ ধরনের কাল্পনিক প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক বন্ধুগণ আগামিতে কারো দারা প্রভাবিত না হয়ে ঘটনার সত্যতা যাঁচাই করে দায়িত্বশীল প্রতিবেদন প্রকাশের প্রত্যাশা করেন। অন্যথায় কতিপয় সাংবাদিকের কারণে সমগ্র সাংবাদিক সমাজের কর্মকা- প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে। যা’ হবে দেশ, জাতি ও কোন রাজনৈতিক দলের জন্য হতাশাব্যঞ্জক।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, প্রেস কাউন্সিলের সভাপতি ও সাংবাদিক সমাজের জ্যেষ্ট নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। একইসাথে দেশ নেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কালিগঞ্জ ছাত্রলীগে সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতারা যাতে স্থান পায় সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ কর্মী ইনামুল হক, আব্দুল জলিল, শফিকুল ইসলাম, ফিরোজ আহম্মেদ ও মুজাহিদ হোসেন।

(আরকে/এএস/অক্টোবর ১৫, ২০১৪)