স্টাফ রিপোর্টার : আগামী শনিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে এর মূল আনুষ্ঠানিকতা। এই সমাবর্তনে অধিভুক্ত সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটরা দুই ভেন্যু থেকে ‘এলইডি স্ক্রিনে’র মাধ্যমে ডিজিটালি অংশ নেবেন।

এজন্য গ্র্যাজুয়েটদের গাউন, আমন্ত্রণপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে ৷ রীতি অনুযায়ী, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং আগের সমাবর্তনে ঢাবি বিশেষ ব্যাগ ব্যবহার করলেও এবার সেগুলো দেওয়া হয়েছে পলিব্যাগে। সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা।

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা কলেজ ভেন্যু পরিদর্শনে আসেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। পলিব্যাগের বিষয়টি তার দৃষ্টিতে আনেন সাংবাদিকরা। এসময় তিনি বলেন, কনভোকেশন গাউন সবসময় স্বতন্ত্রভাবেই দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে টিস্যু ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। এবছর যেটি ঘটেছে, দু-একটি পয়েন্টে পলিব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। সেটি কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না।

উপাচার্য বলেন, সকালে এসেই আমি সব নমুনাগুলো সংগ্রহ করেছি। এটি আমার প্রথম এবং প্রধান একটি বিষয় ছিল বিবেচনায় নেওয়ার। আমাদের সাত-আটটি ভেন্যু থেকে এগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে। তখন দেখলাম দুটো ভেন্যুতে পলিব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। অন্য জায়গায় কিন্তু টিস্যু ব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। আর এগুলো স্বতন্ত্রভাবেই দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, কনভোকেশনের জন্য কিছু গিফট থাকে৷ এগুলোর মধ্যে টাই দেওয়া হয়েছে। এটি পরিধান করে গ্র্যাজুয়েটরা সমাবর্তনে অংশ নেবে। আর স্মরণীয় করে রাখতে ব্যাগ, মগসহ ভিন্ন ভিন্ন আইটেম দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা যখন গাউন জমা দেবে তখন তারা এসব পেয়ে যাবে।

তথ্যগত ঘাটতির কারণে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বিষয়টি আমলে নিয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৭, ২০২২)