চপল রায়, ভোলা : ভোলার তজুমদ্দিনে গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার কে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তারই স্বামী মো: আরিফ। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের পাঁচ নং ওয়ার্ডের পেনা বাড়িতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয় এক সন্তানের জননী সোনিয়াকে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দু'দিন আগে ডিম খাওয়া কে কেন্দ্র করে মা ও বোন খালেদার প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার কে লাথি ও ঘুষি মেরে অতঃপর ইট দিয়ে মাথায় উপুর্যুপরি আঘাত করে ও শার্ট পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা চালায় স্বামী আরিফ। খবর পেয়ে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সোনিয়ার মা বেয়াই বাড়ি আসলে তার মেয়ের জামাই আরিফ অকথ্য গালিগালাজ করে চুল ধরে বুকে লাথি দিয়ে আহত করে। মাকে বাঁচাতে আসলে সোনিয়াকে মুগুর দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় আরিফ। এতে তার মাথা ফেটে যায় ও কান দিয়ে রক্ত বের হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করেছে স্বজনরা।

সোনিয়ার বাবা জানান, বছর চারেক আগে তার মেয়ের বিয়ে দেন আরিফ এর সাথে। সে নেশায় আসক্ত হওয়ায় হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে প্রায়শই এ ধরনের নির্যাতন করে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনেকবার শালিসি করলেও আরিফ প্রায়শই সোনিয়ার গায়ে হাত তুলতো ও কিল ঘুষি মেরে নির্যাতন চালাতো।

এদিকে নারী নির্যাতনের এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান সোনিয়ার স্বজনরা।

(সিআর/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০২২)