গলাচিপা প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভিপি সরকারী খাস জমিতে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণ করছে প্রভাবশালী দেবু পালের পরিবার। দেবু পাল হচ্ছে পৌরসভার মৃত. পরীক্ষিত পালের ছেলে। ভবন নির্মানের খবর পেয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও মানছেন না ওই প্রভাবশালী। পটুয়াখালীর জেলার গলাচিপা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বটতলা বাজার সদর রোড এলাকার এ ঘটনায় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গলাচিপা সদর তহশিলদার শাহাদাত হোসেন, সহকারী তহশিলদার মো. আকাশ মিয়া ও সার্ভেয়ার মো. আজগর। তারা জানান, জমিটি সরকারী ভিপি খাস সম্পত্তি। যার দাগ নম্বর ১২৩, খতিয়ান নম্বর ৪৩৬, জে,এল নম্বর ১০৮ এবং মৌজা রতনদী। উক্ত জমিতে ব্যক্তিগতভাবে বহুতল ভবন নির্মান করা যাবে না। ওই জায়গায় সরকারীভাবে কাউকে ডিসিআর দেওয়া হয়নি।

তারা আরো জানান, বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পৌরসভা থেকেও কোন অনুমতি নিতে পারে নি এবং আমাদেরকেও কোন কাগজ দেখাতে পারে নি। তাই আমরা কাজটি মৌখিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গলাচিপা পৌরসভার এক কর্মকতা জানান, বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য তারা পৌরসভার কোন অনুমতি নেয়নি আমরাও তাদেরকে কোন অনুমতি দেই নি। প্রভাব খাটিয়ে সরকারী সম্পত্তি জবর দখলমূলে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসনকেও তারা মানছে না। একই এলাকার স্বপন বিশ্বাস, মন্ঠু পাল, মনতোষ পাল, পদ পালসহ অনেকে জানান, দেবু পাল সরকারী জমিতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতারাতি বহুতল ভবন নির্মানের কাজ করছে। তারা আইন কানুন কিছুই মানছে না। স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের ম্যানেজ করে সে এই কাজ করছে।

এ বিষয়ে দেবু পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনটি কক্ষ করার জন্য কাজটি করছি। কোন বহুতল ভবন নির্মাণ করছি না। এ বিষয়ে স্থানীয় পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কমিশনার ও প্যানেল মেয়র সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সরকারী জায়গায় বহুতল ভবন নির্মান আইনত দন্ডনীয় অপরাধ যদিও এই জায়গার কোন কাগজপত্র তার নাই। কিসের বলে সে এই কাজটি এত দ্রুত করেছে তা আমার জানা নাই।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি তহশীলদার ও সার্ভেয়ার পাঠিয়ে কাজটি বন্ধ রেখেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, সরকারি জায়গায় কেউ ভবন নির্মাণ করতে পারবে না। সরকারী সম্পত্তি রক্ষায় স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙে দেয়া হবে।

(এসডি/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০২২)