অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে বরাদ্দ কম দেওয়ায় ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ওএমএসের চাল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে মানুষ। চালের বরাদ্ধ কমিয়ে দেওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে খাদ্য বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে। আবার অনেক সময় প্রভাবশালী ও মুখচেনা মানুষদের চাল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। 

জানা গেছে, জেলার ৬টি পৌরসভা এলাকায় পহেলা সেপ্টম্বর থেকে ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে চাল বিক্রি শুরু করে খাদ্য বিভাগ। আগে আসলে আগে পাবেন এমন ভিত্তিতে ২৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়। প্রতি ডিলরকে প্রতিদিন দু’টন করে চাল বরাদ্ধ করা হতো। একজন ক্রেতা ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারতো। এতে প্রতিদিন জেলায় ৯ হাজার ৬০০ জন সাশ্রয়ী মূল্যে চাল কিনতে পারতো। শুরুর থেকেই ডিলারদের ঘরের সামনে দরিদ্র মানুষের লাইন দেখা যায়। বর্তমানে চালের পরিমান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিলার প্রতি দৈনিক এক টন করে চাল বরাদ্ধ করা হচ্ছে। একজন ডিলারের কাছ থেকে দুইশত জন চাল কিনতে পারছে। প্রতিদিন রাত থেকে ডিলারের দোকানের সামনে লম্বা লাইন পড়ছে। আর লাইনে দাড়ানো অর্ধেক মানুষ চাল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। শুধু ঝিনাইদহ শহরের ডিলারদের ৫ টন আটা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি কেজি আটার দাম ২৪ টাকা। সেখানেও লাইনে দাড়িয়ে অনেকে আটা পাচ্ছে না।

শৈলকূপা শহরের প্রাণী সম্পদ অফিসের ডিলারের দোকানে চাল কিনতে আসা আউশিয়া গ্রামের আনজুরা বেগম বলেন, তিনি তিন দিন ঘুরেও চাল কিনতে পারেননি। লাইনে দাড়িয়ে থেকে জানতে পারেন চাল ফুরিয়ে গেছে।

খালধারপাড়া গ্রামের রাশিদা বেগম বলেন, তিন দিন ঘুরার পর গত মঙ্গালবার তিনি চাল পেয়েছেন। ফরিদা বেগম নামে আরেক মহিলাও একই কথা বলেন।

ওএমএস ডিলার খায়রুল ইসলাম মুকুল বলেন, প্রতিদিন ক্রেতা ভোর রাতে এসে দোকানের সামনে লাইন দেয়। তিনি বলেন, চালের পরিমান কমিয়ে দেওয়ায় অর্ধেক ক্রেতা ফিরে যায়। বিষয়টি নিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হাসান মিয়া জানান, ১৭ অক্টোবর থেকে সরকারের নির্দেশে ডিলার প্রতি বরাদ্ধ কমিয়ে এক টন করা হয়েছে। এ জন্য চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।

(একে/এসপি/নভেম্বর ২৭, ২০২২)