ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহে পরকীয়া প্রেমিকাকে তুষ্ট করতে নিজের কর্মরত প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ওই এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম আবু আহমেদ বিশ্বাস তিনি সদর উপজেলার হরিশংকরপুর জেসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।

জানা গেছে, সদর উপজেলার হরিশংকরপুর জেসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু আহমেদ বিশ্বাসের সঙ্গে শৈলকূপার রুপদহ এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী শের আলী বিশ্বাসের স্ত্রী অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে। একটা সময় তাদের সম্পর্ক মধুর পর্যায়ে গড়ায়। সেই সুবাদে শের আলী বিশ্বাসকে তালাক দেয় তার স্ত্রী অন্তরা খাতুন জনি। তারপর থেকে ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস শুরু করে প্রধান শিক্ষক আবু আহমেদ বিশ্বাস ও অন্তরা খাতুন জনি। এক পর্যায়ে উর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করে নিজের কর্মরত প্রতিষ্ঠান হরিশংকরপুর জেসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে অন্তরা খাতুনকে চাকরি দেন আবু আহমেদ বিশ্বাস।

এদিকে তাদের পরকীয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি আবু আহমেদ বিশ্বাসের স্ত্রী ও সন্তানেরা। তারা হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।

অন্তরা খাতুনের স্বামী শের আলী বিশ্বাস লিটন বলেন, দুই সন্তান নিয়ে আমাদের সংসার ভালোই চলছিল। বছর তিনেক আগে আমার স্ত্রীর আচরণ সন্দেহজনক মনে হচ্ছিল। আমি দেশে ফিরে ঘটনাটি জানতে পারি। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকে তালাক দেয় আমার স্ত্রী। মূলত আমার স্ত্রীকে তুষ্ট করতেই তাকে স্কুলে চাকরি দিয়েছে প্রধান শিক্ষক আবু আহমেদ বিশ্বাস।

এ ব্যাপারে হরিশংকরপুর জেসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক অন্তরা খাতুন জনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে হরিশংকরপুর জেসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু আহমেদ বিশ্বাস জানান, আমি কিছুই বলতে পারবো না। সম্ভব হলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। আমি পরে আপনার সাথে যোগাযোগ করবো।

ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(একে/এসপি/নভেম্বর ৩০, ২০২২)