রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙামাটিতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও সেলাই মেশিন, নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ করেছে রাঙামাটি রিজিয়ন।

শুক্রবার (২ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় বসবাসরত ম্রো, ত্রিপুরা, মারমা, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমিসহ ১১টি সম্প্রদায় নিজেদের ঐতিহ্য পোশাক পরে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি রাঙামাটি কলেজ গেইট এলাকা থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি রাঙামাটি রিজিয়নের জোন মাঠ গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা শেষে ১৭ জন দুস্থ ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান, ঢেউটিন, এতিমখানার এতিম শিক্ষার্থীদের বিশেষ অনুদান, নারীদের সেলাই মেশিন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দেন রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমতাজ উদ্দিন।

শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল আশিকুর রহমান পিএসসি, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো তরিকুল ইসলাম।

অন্যদিকে আন্দোলন, লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে চুক্তি ববাস্তায়ন করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেয় জিমনেশিয়ান মাঠে পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন জনসংহতি সমিতি নেতারা।

জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি ডা. গঙ্গা মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, বিজয় কেতন চাকমাসহ জনসংহতি সমিত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারের উচিত পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা। অনেক সময় পার হলেও চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ে নানা ধরনের সংকট তৈরি হচ্ছে। পাহাড়ী জনগোষ্ঠির উপর সকল নিপিড়ন বন্ধ করে দ্রুত চুক্তি বাস্তবায়ন করা হোক।

প্রসঙ্গত, লড়াই, সংগ্রাম, রক্তপাত বন্ধ করে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি চেষ্টায় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা।

(আরএম/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২২)