আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অনলাইন বিজ্ঞাপনের বাজারে বিগত কয়েক বছর ধরেই একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আসছে গুগল। তবে দ্রুত বর্ধমান এই বাজারে ক্রমশ গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আভির্ভূত হচ্ছে ফেসবুক। এবার গুগলকে টেক্কা দিতে চলেছে ফেসবুক।

গত ২ বছরে বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুকের আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অনলাইন বিজ্ঞাপনের ৮ শতাংশই ফেসবুকের অধিকারে।

এখনো অনলাইনে দেওয়া বিজ্ঞাপনের এক-তৃতীয়াংশই যায় গুগলের পকেটে। এসব বিজ্ঞাপনের বাৎসরিক বাজার মূল্য ১ হাজার ৪শ' কোটি মার্কিন ডলার।

তার পরও বিজ্ঞাপনের বাজারে ফেসবুক কীভাবে গুগলকে টেক্কা দিল তা বুঝতে হলে বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুকের সাম্প্রতিক আয়ের তথ্য বিষয়ে জানতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটার সম্প্রতি তাদের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দিয়েছে।

ইমার্কেটারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২ বছরে বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুকের আয় বেড়েছে দ্বিগুণ।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অনলাইনে দেওয়া বিজ্ঞাপনের ৮ শতাংশই ফেসবুকের অধিকারে। যে হারে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা ও ব্যবহারকারী বাড়ছে তাতে এটি গুগল কর্তাদের কপালে ভাজ ফেলার জন্য যথেষ্ট।

তাও কিন্তু থেমে নেই ফেসবুক। চলতি অক্টোবরের প্রথমদিকে বিজ্ঞাপন দাতাদের সুবিধার্থে 'অডিয়েন্স নেটওয়ার্ক' নামে আলাদা একটি ফিচার চালু করেছে তারা। এর লক্ষ্য মূলত স্মার্টফোন ও ট্যাব এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারারীদের নিকট বিজ্ঞাপন পৌঁছানোর পথ খুঁজে বের করা।

এছাড়া ফেসবুক ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের ইতিহাস ঘেঁটে তার আগ্রহের বিষয়ে বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলাদা ব্যবস্থাও রয়েছে ফেসবুকের। এর মাধ্যমে ফেসবুক বিজ্ঞাপনদাতার মূল উদ্দেশ্য অর্থাৎ সবোর্চ্চ সংখ্যক গ্রাহকের নিকট পৌঁছানোর কাজটি অনেকটা সফলভাবেই সম্পাদন করে।

তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিরাপত্তা নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন তারা এ ধরনের 'মার্কেটিং পলিসির' কঠোর সমালোচক। একই কারণে অনেক ব্যবহারকারী বর্তমানে গুগল বা ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের ব্লক করার প্রযুক্তি অথবা 'প্রাইভেট ব্রাউজিং' পদ্ধতি ব্যবহার করেন।

এই পদ্ধতি শুধু ফেসবুক বা গুগল নয় প্রযুক্তি জগতের অন্যান্য জায়ান্টরাও এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কমবেশি।

তবে অনলাইনে বিজ্ঞাপনের বাজারে আপাতত গুগলের আধিপত্য থাকলেও বর্তমানে বাজারে আসা নতুন প্রযুক্তি পণ্য যেমন- আইওয়্যার বা স্মার্টওয়াচের মতো ডিভাইসের ব্যাপক প্রসার ঘটলে সেই আধিপত্য কতদিন টিকে থাকে সেটাই ভাবাচ্ছে গুগল কর্তাদের।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৬, ২০১৪)