ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পরিভ্রমণরত ‘নিউক্লিয়ার বাস’ স্থানীয় জনগনের মধ্যে বিপুল আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষভাবে ব্র্যান্ডকৃত বাসটি গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা থেকে যাত্রা করে ইতোমধ্যে রংপুর, গাইবান্ধা ও পঞ্চগড় জেলা ভ্রমণ সম্পন্ন করেছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এই ট্যুরের সমাপ্তি ঘটবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে সাধারণ জনগনের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব পরমাণু প্রযুক্তি এবং মানব জীবনে এর বহুমুখী ব্যাবহার সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে বিশেষ এই বাস ট্যুরের আয়োজনে সহায়তা করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটম।

বাসে ভ্রমণ করছেন ঈশ্বরদীর পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্র, ঢাকাস্থ পরমাণু শক্তি তথ্যকেন্দ্র এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিত্বকারী কয়েকজন তরুন প্রকৌশলী এবং পেশাদার পরমাণু বিজ্ঞানী। যাত্রাপথে তারা বিভিন্ন জেলায় রাস্তার নিকটবর্তী এলাকায় সাধারণ জনগনের জন্য ইভেন্টের আয়োজন করছে। ইভেন্টগুলোতে স্থানীয় জনগনের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছিল লক্ষ্যনীয়।

ইভেন্টগুলোতে তারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরমাণু প্রযুক্তির ব্যাবহার, এবং এর বিভিন্ন সামাজিক সুবিধা সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে বিজ্ঞানভিত্তিক কুইজ, এবং গেইমস। বিজয়ী এবং স্বক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারীদের দেয়া হচ্ছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার। এছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে তথ্য সমৃদ্ধ লিফলেট, বই ও স্যুভেনিরও বিতরণ করা হচ্ছে।

রসাটমের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী আন্দ্রেই শেভলিয়াকভ বলেন, "রসাটম বিশ্বাস করে যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে সহজলভ্য হতে হবে। আমাদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সকল প্রান্তে পৌছে দিতে নিউকিয়ার বাস একটি অন্যতম মাধ্যম"।

রুশ সরকারের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মীত হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। কেন্দ্রটির দু’টি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর, যেগুলো সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।

(এসকেকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৩, ২০২২)