গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : 'সাম্প্রদায়িকতা, স্বৈরতন্ত্র ও সমাজের নানান অসংগতির বিরুদ্ধে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া একটি অনিবার্য নাম 'রূপা চক্রবর্তী'। যিনি গত চার দশকেরও বেশী সময় ধরে কবিতাকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। কবিতা শিল্পের উন্নয়নে 'স্বনন' সহ বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তুলে কবিতার চর্চাকে সমৃদ্ধ করছেন। তিনি একাধারে বাংলা সাহিত্যের কৃতি শিক্ষার্থী, একজন গবেষক ও সর্বোপরি বাংলা ভাষার একজন নান্দনিক শিক্ষক। সাহিত্যবোধ, কাব্যবোধ ও শিল্পবোধ সম্পন্ন হাতে গোণা যে কজন বিশারদ কবিতা শিল্প নিয়ে সবাইকে একত্রিত করে সারাদেশে একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন, রূপা চক্রবর্তী তাঁদের অন্যতম। সংস্কৃতিতে সাংগঠনিক দক্ষতায় রূপা চক্রবর্তী একজন 'লৌহমানবী'ও বলা যেতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের বাংলা ভাষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, দেশের বরেণ্য আবৃত্তিজন, বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের সদস্য সচিব ড. রূপা চক্রবর্তীর শুভ জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল রাতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত 'কথা ও কবিতার' এক প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট আবৃত্তিজনেরা তাঁদের বক্তব্যে রূপা চক্রবর্তীকে এভাবেই তুলে ধরেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে প্রচারিত দর্শকনন্দিত নিউজ পোর্টাল নবীনগরের কথার নিয়মিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে (পর্ব-১৮৫) যুক্ত হয়ে রূপা চক্রবর্তীকে নিয়ে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

দৈনিক বাংলা ৭১ এর বিশেষ প্রতিনিধি ও নবীনগরের কথার সম্পাদক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপুর পরিকল্পনা ও সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ড. রূপা চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে তাঁর কর্মময় জীবনের ওপর সারগর্ভ আলোচনা করেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি ড. মারুফুল ইসলাম, আবৃত্তি সংগঠন 'স্বনন' এর সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী নাজমুল আহসান, বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী যশোর আবৃত্তিশিল্পী সংসদের সদস্য সচিব সাধন দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আবৃত্তিশিল্পী সংসদের আহবায়ক আল আমীন শাহীন, কলকাতার বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী রঞ্জনা কর্মকার ও ত্রিপুরার ধর্স্মনগরের বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী নির্ঝর পাল। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দর্শকদের পক্ষ থেকে প্রদীপ আচার্য নামে স্থানীয় একজন শিক্ষক ও সাংবাদিক ভার্চুয়াল এ আয়োজনে সরাসরি যুক্ত হন।

এ সময় বক্তারা বাংলাদেশের আবৃত্তি চর্চায় রুপা চক্রবর্তীর নানান কর্মময় জীবনের ভূয়সী প্রশংসা করে আগামি দিনেও কবিতার উন্নয়নে তাঁর নেতৃত্ব এ কবিতা শিল্পকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন।

জবাবে ড. রূপা চক্রবর্তী বলেন,'জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কবিতার সামগ্রিক উন্নয়নে তিনি অতীতের ন্যায় সবাইকে নিয়েই কাজ করে যাবেন। সেজন্য তিনি কবিতার সঙ্গে জড়িত নিবেদিতপ্রাণ সকলের সর্বত সহযোগিতা চেয়েছেন। তাঁর জন্মদিনে এমন নান্দনিক একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজন করায় তিনি নবীনগরের কথাকে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেন।

(জিডিএ/এএস/ডিসেম্বর ০৫, ২০২২)