পটুয়াখালী প্রতিনিধি : দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় ১১ দিন অবরোধ যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার বিজ্ঞজনরা। এই সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তারা।

৫ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর মা ইলিশের পেটভর্তি ডিম দেখে এমন মন্তব্য করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা জানান, অবরোধ শেষে সাগর বা নদীর মোহনায় যে মা ইলিশ ধরা পরে তার অধিকাংশের পেটেই ডিম রয়ে যায়। অবরোধের সময়সীমা বাড়িয়ে দিলে অনায়াসেই মা ইলশরা ডিম ছেড়ে দেশের ইলিশ সম্পদ আরও ৩ গুন বাড়িয়ে দিতে পারে। ১ লা অক্টোবর থেকে অন্তত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অবোরোধ থাকা দরকার বলে মনে করছেন তারা। অবশ্য ব্যতিক্রম মন্তব্যও করছেন কেউ কেউ। কারণ হিসেবে তারা বলেন ১১ দিন অবরোধ রাখাই প্রায় দু:সাধ্য হয়ে পরে।

প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল ও উপযুক্ত যান না থাকায় ইলিশ সম্পদ রক্ষায়, দায়িত্বে নিয়োজিত কোষ্টগার্ডসহ অন্যান্য বাহিনীরা ঠিকমত অভিযান চালাতে ব্যর্থ হয়। এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা এসব বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে উপকূলের কাছেও নয় গভীর সমূদ্রেও নয় এমন কিছু প্রজনন ক্ষেত্র বেছে নিয়ে ঐসব এলাকায় মা ইলিশ ধ্বংসে লিপ্ত হয়। যেখানে ছোট ছোট নৌযান নিয়ে রক্ষাকারী বাহিনীদের পৌছানো দু:সাধ্য হয়ে পরে।
গত ১৪ও ১৫ অক্টোবর রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জয়নুল আবেদীন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন, এসআই শহিদুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত মৎস্য অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ এর প্রভাব না কাটতেই উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যৌথ অভিযান চালায়। এতে ১১জেলেকে আটক করে মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা হয়। তিনি আরো জানান, প্রত্যেকের ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

(অারএ/জেএ/অক্টোবর ১৬, ২০১৪)