দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : হাওয়াই মিঠাই ‌ এই শব্দটার সাথে বাঙালি অত্যন্ত পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে হাওয়াই মিঠাই শব্দটা বাংলা সাহিত্য ওতপ্রোত ভাবে মিশে গেছে। 

এ ব্যাপারে কথা হয় হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা লুৎফর রহমানের সাথে। তিনি বর্তমানে গোয়ালচামোটের ‌১ নম্বর সড়কের বক্কারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে রয়েছেন। তার দেশের বাড়ি পাবনা জেলাতে।

তিনি জানান, এ জেলায় হাওয়াই মিঠাই চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। আগে গ্রামাঞ্চলে বিক্রি ভালো হলেও ইদানিং শহরের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।

বর্তমানে তিনি জেলা প্রশাসন স্কুল, সানরাইজ স্কুল রেইনবো স্কুল, শিল্পকলা একাডেমীর সামনে নিয়মিতভাবে দোকান করে থাকেন এছাড়া শ্রী অঙ্গনে ‌ মাঝে মাঝে বেচাকেনা করেন।

তিনি জানান, বিশেষ করে শিশু রাই এর প্রধান ভক্ত। পাশাপাশি অনেক লোক বিভিন্ন বয়সী মুরব্বিরাও এই খাবারটি পছন্দ করেন। মুখে দেওয়া মাত্রই এই খাবারটি গলে যায় যে কারণে অনেকের কাছে এই খাবারটি আশ্চর্যজনক।
তবে হাই মিঠাই কতদিন ধরে শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশ কবে আসলো এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারেনি।
লুৎফর রহমান জানান ‌ তার কাছে মোট দুই রকম হয় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি হয় একটি সাদা অপবর্তি গোলাপী ।এরমধ্যে সাদা রংয়ের হয় মিঠাই চাহিদা বেশি থাকলেও গোলাপি রঙের মিঠাই ভালোই বিক্রি হয়।

তিনি প্রত্যাশা করেন যদি সরকার থেকে সহজ শর্তে তাকে লোন পাওয়ার ব্যবস্থা করতেন তাহলে তিনি ব্যবসাটাকে বড় করতে পারতেন। এছাড়া রাস্তার পাশে ছোট একটা জায়গা দিলেও তিনি ব্যবসাটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন।
একই সাথে তার ব্যবসার ও প্রসার ঘটাতে পারতেন। তিনি বিবাহিত এবং দুই কন্যা এক ছেলে আছে। হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে তিনি অতি কষ্টেই জীবন অতিবাহিত করছেন। এবং চেষ্টা করছেন ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত হওয়ার।

(ডিসি/এসপি/ডিসেম্বর ০৬, ২০২২)