ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান  ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। বেলা তিনটা বাজবার সাথে সাথে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমবেত হতে থাকে। নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতিতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। 

আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মমতাজুল হককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় । সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি হিসেবে এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মশফিকুল ইসলাম রিন্টু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান।

বিজয়ের মাসে সকল শহীদ ও নির্যাচিত মা-বোনদের স্মরণে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মমতাজুল হককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন।

সংবর্ধনার জবাবে ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ওই বেচারা এখন একটা মাইক নিয়ে হাটে বাজারে যেভাবে ওষুধ বিক্রি করে সেভাবে হাটে-বাজারে যাচ্ছে আর মাইকিং করছে। এটাও প্রতিহত করতে হবে। এটা আওয়ামী লীগের বাংলাদেশ, এটা আওয়ামী লীগের নীলফামারী।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীকে ভদ্র ভাবে কথা বলার পরামর্শ দিলেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক। উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি অভিযোগ করে বলেন, উনি এখনো উল্টা পাল্টা কথা বলছেন।

ক্রমাগত তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন নিজের জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় তুলে ধরে এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক বলেন, আমি ২০০৬ সাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সম্পর্কে বলেন, উনি কি করেন, উনি কখনো করেন জাসদ, কখনো বাসদ, কখনো জাতীয় পার্টি, কখনো এবি পার্টি।

(ওকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০২২)