নিউজ ডেস্ক : দেশের বৈদশিক আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস গার্মেন্টস শিল্প, কৃষি উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পুষ্টি, গৃহস্থালির কাজে সিংহভাগ অবদানই গ্রামীন নারীর হাত ধরে আসছে। কিন্তু অনাকাংখিত কারণে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এই গ্রামীন নারীদের কাজের অবদান গণণা করা হয় না এবং কাজের মুল্যায়ন স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে না।

আর কাজের মুল্যায়ন করা হলে তা আরো জোরদার হবে এবং উৎসাহিত হবে। তাই জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অনবদ্য অবদান রক্ষাকারী এই গ্রামীন নারীদের সঠিক মুল্যায়ন রাস্ট্রীয় ভাবে করা উচিত। তাহলেই নারীদের প্রতি সঠিক ন্যায় বিচার করা হবে। বর্তমান সভ্যতায় নারীরা শুধু গৃস্থলির কাজ নয় তারা এখন পুরুষের পাশাপাশি রাজনীতি, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা সহ সকল স্তরে পুরুষে পাশাপাশি সমান অবদান রেখে চলেছেন। এখন প্রয়োজন তাদের অবদানকে রাস্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে উত্তারিধকার ও উপার্জিত সম্পদে নারীর সম অংশীদান নিশ্চিত করা।

১৫ অক্টোবর ২০১৪ ককসবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফামের সহযোগিতায় চকরিয়া মিউনিসিপ্যাল স্কুল মিলনায়তনে বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপরোক্ত মতামত ব্যক্ত করা হয়। বিশিষ্ঠ কৃষক আন্দোলন নেতা ও বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পাটির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য হাজী বশিরুল আলমের সভাপত্বিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আকম গিয়াস উদ্দিন, মুখ্য আলোচক ছিলেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বক্তব্য রাখেন জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা সমন্বয়ক এস এম মঞ্জুর হোছাইন চোধুরী, চকরিয়া উপজেলা নারী উদ্যোক্তা পরিষদ সভাপতি উম্মে কুলছুম মিনু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এম.আর চৌধুরী, উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা প্রকৌশলী কামাল হোসেন, বিএমচর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নূরে জান্নাত, চকরিয়া সাহারবিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যাপক আব্দু রহিম, আইএসডিই বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, নারী নেত্রী শিক্ষিকা রেজুত আরা বেগম, পিএইচডি প্রতিনিধি আব্দুল গণি খাঁন, উন্নয়ন কর্মী খায়রুন নেছা হিরা প্রমুখ। আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসুচি কর্মকর্তা শেখ আজাদ কামাল টিপুর সঞ্চালনায় ধারনাপত্র পাঠ করেন নারী উন্নয়ন কর্মী মেরীনা জন্নাত ও নূরে জান্নাত।

সভায় বক্তাগন আরো বলেন খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি উৎপাদন বিশেষ করে রবি শস্য, গবাদি পশু, হাঁস মুরগি, সবজি চাষ, মৎস্য চাষ, বনায়ন ইত্যাদি কাজে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি সমান অবদান রাখলেও সামাজিক ও ধর্মীয় গোড়ামীকে পুঁজি করে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় নারীর অবদানকে যথযথ মুল্যায়িত না হবার কারনে নারী অধিকারকে অবমুল্যায়ন করা হচ্ছে। অথচ আদিকাল থেকেই নারীরা কৃষি কাজের বিশাল অংশ বিশেষ করে বীজ সংরক্ষন, বাড়ীর আঙ্গীনায় কৃষি কাজ করে পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা বিধান করে আসছিল। অন্যদিকে কৃষক যখন তার উৎপাদিত ফসল বাড়ীতে নিয়ে আসে তার পুরো দায়িত্বই নারীর হাতে। তার পরেও কৃষিতে নারীর অবদানকে রাস্ট্রীয় ও সামাজিক ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হচ্ছে না। যদিও বর্তমান সরকার কৃষানী কার্ড বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছিল।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৬, ২০১৪)