বরগুনা প্রতিনিধি : বেতাগীতে শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনার অজুহাতে নিলাম না ডেকেই বলাইবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবন তড়িগড়ি করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে সম্পুর্ণ অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮‘শ টাকা দরে বিক্রয় করা হয়।

ইতোমধ্যে ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান তালতলীর সুমি এন্টার প্রাইজ লিমিটেডের ভবন ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু টাকা উপঢৌকন নিয়ে শিক্ষা কমিটি নিলাম কার্যক্রম চুড়ান্ত করার আগেই শিক্ষা কর্মকর্তা সরকারি সম্পত্তি বেহাত করে ফেলেছেন। অন্যদিকে নীতিমালার তোয়াক্কা না করে কম দরে বিক্রি করায় সরকার ন্যায্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। দূর্ঘটনার অজুহাত দেওয়া হলেও সেখানে ক্লাশ চালনো তো দুরের কথা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোন আনাগোনা নেই ৮-৯ বছর ধরে। ভবনটি সম্পুর্ন পরিত্যক্ত ছিল।

এব্যাপরে প্রধান শিক্ষক নিতাই চন্দ্র বলেন, শিক্ষা অফিসারের নিদের্শনা অনুযায়ী কাজ করেছেন, ম্যাডামের কথা না শুনে আর উপায় কি?
এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান কবির জানান,নিলাম প্রক্রিয়া না হওয়ায় সরকার কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শিক্ষা কমিটির সদস্য সেলিম আহম্মেদ বলেন,‘বিষয়টি শুনেছি। আমরাও এর পক্ষে নই।’
এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পুতুল রানী মন্ডল বিদ্যালয়ে পরিত্যাক্ত ভবন বিক্রি করায় কোন হেরফের হয়নি,সবকিছুই সঠিকভাবে হয়েছে বলে দাবি করেন।

(এমএইচ/এএস/অক্টোবর ১৬, ২০১৪)