পটুয়াখালী প্রতিনিধি : স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে চম্পা বেগম (২০) এক গৃহবধু বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর চম্পা বেগম বিষ খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের বৌলতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পটুয়াখালী মর্গে প্রেরন করেছে। ঘটনার পর থেকেই চম্পার স্বামী বশির খাঁ পলাতক রয়েছে।

নিহত গৃহবধুর পিতা সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে। গত সাত মাসে বশিরে সাথে চম্পার বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে নগদ ২৫ হাজার টাকা, গরু ও স্বর্নালংকার দেয়া হলেও প্রায়ই টাকার জন্য চম্পাকে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ বৈঠকও হয়। তাদের ধারনা স্বামী তাকে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। কেননা স্বামী-স্ত্রীর কলহ না হলে ফজরের নামাজের সময় কেউ বিষ খায় না।

তবে চম্পার ফুফা শ্বাশুড়ী মাহমুদা বেগম ও ভাসুর নাসির খাঁ জানান, কি কারনে চম্পা বিষ খেয়েছে তা তারা জানেন না। এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার এসআই ইদ্রিস জানান, স্বামী-স্ত্রীর কলহের কারনেই সে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে তিনটা) থানায় মামলা হয়নি।

(এমআর/পি/অক্টোবর ১৬, ২০১৪)