মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বসতঘর ভাঙ্গার অভিযোগ পাওয়া গেছে এ ঘটনায় উভয়  পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সুবর্ণচর উপজেলার চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া গ্রামের ইসমাইলের বাড়ীতে এমন ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর ভাই মো. ইউছুফ বলেন, ঈসমাইল সে চাকরির সুবাদে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলায় থাকে। তবে আমি এখানকার স্থায়ীবাসিন্দা। আমার ভাই গত ২০০৫ সালে সায়েরা খাতুন থেকে এ জমি ক্রয় করে। তখন থেকে আমরা ক্রয় ও দখল সূত্রে মালিক। ক্রয়ের পর থেকে এ জমি গুলো আমি সব সময় দেখাশোনা করি। গত ৫-৭ বছর পূর্বে এ জমিতে ভিটে নির্মাণ করে একটা টিনের ঘর করেছি। বাড়িটি পাহারা দেওয়ার জন্য রায়ত হিসেবে স্থানীয় দুই বৃদ্ধা স্বামী-স্ত্রী রেখেছি। কিন্তু বিবাদী চরবাটা ইউনিয়নের চিন্তামণি হাফেজ বাড়ির শেখ আহম্মদের ছেলে আবদুল্যাসহ তার পরিবার আমাকে ও আমার বাড়িতে থাকা দুই বৃদ্ধাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিতো প্রতিনিয়ত।

তিনি আরো বলেন, এ জমি নিয়ে চরজব্বর থানায় দুইটি মামলা ও মাইজদী কোর্টে এক মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে চরজব্বর থানায় দুই-দুইবার বৈঠকও হয়েছে। এর মধ্যে গত ২-৩ বছর আর কোনো সমস্যা হয়নি। হঠাৎ করে গত ৩-৪ দিন পূর্বে আমার বাড়িতে থাকা দুই বৃদ্ধাকে বিভিন্ন ধমক দিয়ে তারা তাড়িয়ে দেয়। এবং মঙ্গলবার ভোর রাতে আমার ঘর ভেঙ্গে পেলে। এটি আমি স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে চরজব্বর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমি প্রশাসনের নিকট সু-বিচার দাবী করছি।

অভিযুক্ত মো. আবদুল্যাহ ও তার ভাই আব্দুর রহমান বলেন এ সম্পত্তির মালিক আমার মা আমেনা খাতুন। ১৯৮৩ সালে আমার নানা হাজী মুকবুল আহম্মদ আমার চার খালার নামে ১ একর ২০ জায়গার মধ্যে ৭৫ ও ৮০ দাগ নিয়েছে। পরবর্তীতে অন্য এক অংশীদার এখান থেকে কিছু জায়গা বিক্রি করেছে। সেই জায়গা নিয়ে এ বিরোধ। তার জমি অন্য দাগে সে এখানে দাবী করে অযথা ঝামেলা করছে। কে বা কাহারা তার ঘর ভাঙ্গছে জানিনা, আমরা ঘর ভাঙ্গার সাথে জড়িত নই। এটা আমাদেরকে ফাঁসানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) দেব প্রিয় দাশ জানান, জমি বিরোধ অভিযোগের পেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০২২)