সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জে ক্ষুদ্র ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছা মতো দামে কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয় করায় চামড়া নির্ধারিত মূল্যের চাইতে বেশি দামে চামড়া ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন চামড়া আড়তদাররা। এতে আশানুরূপ চামড়া ক্রয় করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। ৩০-৩৫টি চামড়া আড়তের মালিক কর্মচারীরা এখন হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। এদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়েছে ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছে। তবে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন।

জানা যায়, জেলায় এ বছর প্রায় ১ লাখ গরু ও ২৫ হাজার খাসি, ছাগল, মহিষসহ অন্য পশু কোরবানি হয়েছে। এবছর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৬০ থেকে ৭০, ছাগল, খাসি ৩০ থেকে ৪০ ও মহিষ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে গত বছর লবণযুক্ত প্রতিবর্গ ফুট চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৫ থেকে ৮০ খাসির চামড়া ৫০-৫৫ বকরি ৪০-৪৫ এবং মহিষের চামড়া ৪০-৪৫ টাকা। অথচ সিরাজগঞ্জের ক্ষুদ্র ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছামত দাম বেশি দিয়ে চামড়া ক্রয় করায় দামের অনেক হেরফের হচ্ছে। যার ফলে নির্ধারিত মূল্যের বেশি দিয়ে চামড়া কিনতে বাধ্য হয় আড়তদাররা।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হানিফ বলেন, মূল্য নির্ধারণ একটা প্রহসন। অনেক ব্যবসায়ী নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে চামড়া ক্রয় করছেন। তাহলে কি তারা লোকসান দেবে। তার অভিযোগ, আমাদের মতো ক্ষুদ্র ও মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কমদামে চামড়া কেনার একটা অজুহাত মাত্র। ফলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চামড়া ব্যবসায়ীদের নেতা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চামড়ার মাপ অনুযায়ী ক্রয় না করে নিজের পছন্দমত দামে ক্রয় করায় কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে থাকেন। তিনি বলেন, বড় ব্যবসায়ীদের সরাসরি চামড়া ক্রয় করার সুযোগ কম পায়। তাদের ভরসা করতে হয় ক্ষুদ্র এবং মৌসুমী ব্যবসায়ীদের উপরে। তাই বাধ্য হয়ে নির্ধারিত মূল্যের চাইতে বেশি দিয়ে চামড়া ক্রয় করতে হয়। তিনি আরও বলেন, ট্যানারির মালিকরা যদি নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে ক্রয় না করে তা হলে জেলার প্রায় অর্ধশত চামড়া ব্যবসায়ীকে শত কোটি টাকা লোকসান দিতে হবে।
(ওএস/এইচআর/অক্টোবর ১৭, ২০১৪)