রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ রক্ষায় ৫ অক্টোবর হতে টানা ১১ দিন নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। সরকারি এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত বুধবার। এরপর আবারও পদ্মা, মেঘনায় ইলিশ মাছ ধরার ধুম পড়ে। ঝাঁকে ঝাঁকে ডিমওয়ালা ইলিশ আসছে জেলেদের জালে। হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। কিন্তু অনেক ইলিশ এ সময় ডিম ছাড়েনি।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মেঘনা এলাকায় গত দু’দিনে ১০টি মাছ ঘাটে বেচাকেনা হয়েছে অন্তত দুই হাজার মণ ডিমওয়ালা মা ইলিশ। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার কারণে এবার ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে নিষেধাজ্ঞার সময় একশ্রেণীর প্রভাবশালী মাছ ব্যবসায়ীর সেল্টারে কিছু জেলে মা ইলিশ নিধন করে তা আড়তদাররা বরফ দিয়ে মজুদ করেছে। সেই ইলিশে এখন বাজার ছেয়ে গেছে।

জেলে ইমান হক ও করিম উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে তাদের জালে ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়ছে। অনেক ইলিশ এখনো ডিম ছাড়েনি। আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে বাকি ইলিশগুলো ডিম ছাড়তে পারে। ডিম ছাড়ার আগে ইলিশ মাছ দুর্বল থাকে। এ সময় নদীতে জাল ফেললেই আটকা পড়ে। অন্য সময় এভাবে মাছ আটকা পড়ে না।

তারা আরও বলেন, মা ইলিশের ডিম ছাড়ার জন্য অভিযান চালানো হলেও অধিকাংশ মা ইলিশই এখনো ডিম ছাড়তে পারেনি। একই এলাকার আরেক জেলে রফিক মাঝি বলেন, ঘরে অভাব ছিল, তারপরও নদীতে মাছ ধরিনি। এখন ডিমওয়ালা মাছ হলেও নদীতে মাছ পেয়ে খুব ভালো লাগছে।

জেলা মৎস্য জীবী সমিতির সভাপতি মোঃ মোস্তফা বেপারী বলেন, প্রায় ৫০ শতাংশ ইলিশ মাছ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ডিম ছেড়েছে। প্রায় ৫০ শতাংশ ইলিশ মাছ এখনো ডিম ছাড়েনি। রায়পুরের প্রায় ১০ হাজার জেলে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। গত দু’দিন ধরে এসব জেলে নদীতে মাছ ধরতে গেলে তাদের জালে অনেক ডিমওয়ালা ইলিশ ওঠে।

যোগাযোগ করা হলে ৫০ শতাংশ ইলিশ এখনও ডিম না ছাড়ার কথা স্বীকার রায়পুর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ১৫ থেকে ২০ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখলে সব ইলিশই ডিম ছাড়ার সুযোগ পাবে। আগামী বছর কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়াতে পারে।

(এমআরএস/এনডি/অক্টোবর ১৭, ২০১৪)