টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঘরের ভেতর পেট্রোল ঢেলে মা ও তিন মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে শুক্রবার মামলার ৭নং আসামি নুর মোহাম্মদ নিপু স্বীকার করে এ তথ্য জানায়।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর কার্যালয়ে আটকদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করার পর ঘটনার বিবরণ দেন নিপু।

তিনি জানান, গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মূল আসামি জাহাঙ্গীর নিপু ও রিকশা চালক আলী হোসেনকে পেট্রল আনতে বলে। এবং পেট্রল আনা হলে মনিরাদের ঘরে আগুন দিয়ে সবাইকে পুড়িয়ে মারা হবে।

এ কথা শুনে বাড়িতে গিয়ে নিপু ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার পরে চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর নিপুকে ডেকে নিয়ে আসে। তারা দুই জনে প্রবাসী মজিবরে বাড়িতে যায়। সেখানে মজিবরের ঘরের সামনে আগে থেকেই আলী হোসেনকে দিয়ে পেট্রল এনে রাখা হয়ে ছিল। এ সময় জাহাঙ্গীর ঘরের দরজার সামনে মাটি দিয়ে বাধ দিয়ে পেট্রল ঢেলে দেয় এবং নিপুকে নিহত মনিরার চাচার ঘরে বাইরে থেকে তালা লাগাতে বলে এতে নিপু মনিরার চাচার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। এবং মনিরাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় জাহাঙ্গীর। পরে পালিয়ে যায় তারা।

এদিকে, টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, জাহাঙ্গীরকে দ্রুত গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।

উল্লখ্য গত ৭ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের দক্ষিণ সোহাগপাড়া গ্রামে বখাটে জাহা রাতের আঁধারে ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে হাসনা বেগম (৩০) ও তার তিন মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে হাসনা বেগমের ভাই মো. মোফাজ্জল
হোসেন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

(এসএ/এটিআর/আক্টোবর ১৭, ২০১৪)