শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে “তথ্য অধিকার আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন” শীর্ষক প্রশিক্ষণ। আজ বুধবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর কনফারেন্স রুমে উক্ত প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের সম্মানিত ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইন্সটিটিউটের পরিচালক, এপিএ বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট কমিটিসমূহের আহবায়ক ও সদস্য সচিব এবং তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সকল সদস্য (শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ) অংশগ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন, হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ মইনুর রহমান।

প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তথ্য অধিকার) মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।

এ সময় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে বিজয়ের মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করেছিলেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে তিনি সব সময় কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন তারই রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরই তিনি শুদ্ধাচারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রয়োজন একটি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা। প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যদি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণ থাকে তবে যেকোন ধরণের অন্যায় অবিচার রোধ করা সম্ভব। শুদ্ধাচার চর্চার অংশ হিসেবে সকলের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি তথ্য অধিকার আইন প্রবর্তন করেছেন। সকলের চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, সেই সাথে তথ্য পাওয়ারও অধিকার রয়েছে। তবে এমন তথ্য যা প্রকাশ হলে রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তি আর্থিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা প্রকাশ করা যাবে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সর্বোপরি জনসাধারণ যেন প্রয়োজনীয় তথ্য পায় সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। পরিশেষে তিনি উক্ত প্রশিক্ষণ আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ২১, ২০২২)