ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে নীলফামারীতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাঠে নামতে পারেনি। সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে শহরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। জেলা বিএনপির কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় ভোর থেকেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। কঠোর পুলিশ নজরদারিতে সন্দেহভাজন কাউকেই সড়কে উঠতে দেওয়া হয়নি। সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১১ টা পর্যন্ত জেলা বিএনপির কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায়  বিএনপির কোন নেতা-কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, গুম, দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। শনিবার সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা ছিল। সকাল ৯টা থেকে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমবেত হতে থাকে বলে জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আলমগীর সরকার বলেন, প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে দলীয় নেতা-কর্মীরা সমবেত হতে থাকে। আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের জন্য পূর্বেই প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া ছিল, কিন্তু আজ তারা কথা 'উলটা পালটা' করে ফেলেছেন বলে সাংবাদিকদের সামনে এই অভিযোগ করেছেন। জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সমবেত হওয়ার সময়ে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বেধড়ক লাঠি চার্জ করেছে বলে অভিযোগ জেলা বিএনপির সভাপতির।

সকাল নয়টা থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির ৫/৬জন নেতাকে অবস্থানের সুযোগ দিয়েছিল পুলিশ। জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার ছাড়াও এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মীর সেলিম ফারুক, মোজাম্মেল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান কোকো, কৃষকদল নেতা মগনী মাসুদুর আলম দুলাল, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোর্শেদ আযমকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা গেছে। জেলা বিএনপির কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক পুলিশী তৎপরতায় আজকের বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে পারেনি।

(ওআরকে/এএস/ডিসেম্বর ২৪, ২০২২)