মোহাম্মদ ইলিয়াছ


মেঘনা বিধৌত এক সমৃদ্ধ অঞ্চল চাঁদপুর। বিশাল জলরাশি বয়ে নদীটি মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। একদা সমুদ্রে বাংলাদেশের পরিসীমা নির্ধারিত ছিল না। আজ আমাদের সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়েছে মহীসোপান পর্যন্ত। যেন আর একটি বাংলাদেশ।

মায়ের কোলজুড়ে এক শিশুর জন্ম হলো। পিতা ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। মাতা রত্নগর্ভা রহিমা খাতুন। পেশায় ছিলেন শিক্ষক। রাজনীতির আবহ ছিল পরিবারের ভেতর। শিক্ষা আর রাজনীতির মিশেলে বড় হয়েছেন দীপু মনি। বঙ্গবন্ধুর স্নেহ পেয়েছেন। ডাক্তার হয়েছেন, আইনজ্ঞ হয়েছেন। তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মেঘনার রুপালি ইলিশ যেমন সূর্য দর্শনে নিস্তেজ হয়ে যায়, মানুষও তেমনি প্রমিতভাষী দীপু মনির অমৃতভাষার সংস্পর্শে এসে বিমোহিত হয়ে পড়ে। মেঘনা পাড়ের কন্যাটির বিমুগ্ধ করার এক আশ্চর্য শক্তি আছে।

দীপু মনি মাঠে-ময়দানে জনকল্যাণে চষে বেড়ান ও আমজনতাকে কাছে টেনে তাদের দুঃখ-বেদনার সহমর্মী হন। নিজের অবস্থান থেকে যা কিছু পারেন, ততটুকু সাহায্য নিয়ে তিনি এগিয়ে আসেন মানুষের কল্যাণে।

দীপু মনি রাষ্ট্রীয় অপরিমেয় উজ্জ্বল ও অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য হয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত কাছের নীতি-নির্ধারকদের একজন। নিজেকে তৈরি করে নিয়েছেন একজন সংগঠক, রাজনীতিবিদ, স্বপ্ন বাস্তবায়নকারী হিসেবে। সোনার বাংলার প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছেন। রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন অকুতোভয়। একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলায় শিকার হয়েছেন। বিপদে আপদে শেখ হাসিনার নির্ভরযোগ্য ভরসার প্রতীক হয়েছেন। আস্থা রেখেছেন ও ক্রমশ হয়ে উঠেছেন জনতার দীপু মনি।বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা তার উপর অবিচল আস্থা রেখে টানা পঞ্চমবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাকে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।

পশ্চাৎপদ জাতিকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছেন ও কাঙ্খিত সফলতা পেয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রমকে অনলাইন-অফলাইনের মাধ্যমে চালু রেখেছেন। ফলশ্রুতিতে আমরা দেখেছি পাবলিক পরীক্ষায় ছাত্ররা অভাবনীয় ফলাফল লাভ করেছে। বিজ্ঞানমনষ্ক একটি রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য উচ্চশিক্ষা, কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটিয়েছেন। আমাদের প্রত্যাশা একদিন বাংলাদেশ একমুখী শিক্ষায় ফিরে আসবে। সবার জন্য শিক্ষা বাস্তবায়িত হবে।

দীপু মনি একাধারে রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, আইনজ্ঞ, লেখক, সংগীতপ্রেমী, সংস্কৃতিবান। তিনি পারিবারিক জীবনে জননী, সেবক, সন্তানদের মাতা। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী তিনি সমুদ্রসীমাকে মহীসোপান পর্যন্ত বিস্তৃত করেছেন। শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন মানুষের মাঝে। রাজনীতিতে হয়ে উঠেছেন অপরিহার্য। তার কাছে জনগণ নেতা হিসেবে যা চেয়েছে, তাই পেয়েছে। না চাইতেই আমরা পেয়েছি বেশি। প্রত্যাশা করতেই পারি, দীপু মনির কর্মময়তা উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে দশদিকে ছড়িয়ে পড়বে। সেই আলোতে আমরা নিজেদের পাঠ করতে পারব।

চাঁদপুর গণমানুষের আস্থার প্রতীক, চাঁদপুরের মানুষ যাঁর উপর ভরসা রেখেছে তিনি আমাদের সবার প্রিয় ডাঃ দীপু মনি (এমপি) । একজন প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নয় , একজন শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নয়, সবকিছু ছাপিয়ে তিনি আমাদের সবার প্রিয় হৃদয়গ্রাহী । তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের চার বছরের কাছাকাছি। দায়িত্ব নিয়েই তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অর্জিত সাফল্যগুলো ছাপিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটির পর একটি সাফল্য অর্জন করে চলেছেন। আপনার বিজয়ের শকটখানি দ্রুতলয়ে এগিয়ে চলুক। বিধাতার আশিসধারা আপনার উপর নিয়ত বর্ষিত হোক।
চার। বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যত সাফল্য গত তিন বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক অর্জন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড:

১) নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি। বিগত প্রায় ১০ বছর বন্ধ থাকার পর একসঙ্গে এমপিওভুক্তকরা হয়েছে ২ হাজার ৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

২) চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে পরিমার্জনের কাজ করা হয়েছে।

৩) পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় ছিল সে প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন যাদুঘরে । পাবলিক পরীক্ষা এখন শতভাগ প্রশ্নপত্র ফাঁস বিহীন হচ্ছে।

৪) পাবলিক ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণকরে বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

৫) ২০২০ সাল থেকে ৬ষ্ঠ–৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ৬৪০ স্কুলে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং ২০২১ সাল থেকে মাধ্যমিকের সব ক্লাসেকারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

৬) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২৬ হাজার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার নতুন ভবনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে।

৭) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে ২ হাজার ৪৯৪ জন নতুন জনবল অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

৮। বর্তমান পেন্ডামিক সিচুয়েশনের মধ্যেও সংসদ টিভির মাধ্যমে এবং অনলাইন ক্লাশের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। যা সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।

৯। দীর্ঘদিন পর সরকারি কলেজের অধ্যাপক পদে স্মরণ কালের সর্বেোচ্চ সংখ্যক অধ্যাপক পদে ব্যাচ ভিত্তিক পদন্নোতি প্রদান করা হয়েছে। অন্যান্য টায়ারেও পদন্নোতির চলছে।

১০) শিক্ষার মান উন্নয়নে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।

১১) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করা হয়েছে।

১২) হবিগঞ্জ ও চাঁদপুরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।

১৩) মাদ্রাসা বোর্ড আইন–২০২০ পাস করা হয়েছে।

১৪। শিক্ষা আইন চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

১৫। বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদন্নোতির নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

১৬। এম পি ও নীতিমালা এবং জনবল কাঠামো সংশোধ চুড়ান্ত হয়েছে।

১৫) ১০ বছর ধরে ঝুলে থাকা শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

১৬) খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

১৭) কোচিং বাণিজ্য বন্ধে কার্যকর বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

১৮) জিপিএ গ্রেডিং সিস্টেমে সমন্বয় করা। সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জিপিএ–৫’র পরিবর্তে জিপিএ–৪ প্রবর্তণের উদ্যোগ গ্রহণকরা হয়েছে।

১৯) একাদশ শ্রেণির ৩০ লাখ পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো হয়েছে।

২০) হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন রোধে কমিটি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

১৮) র‌্যাগিং প্রতিরোধে অ্যান্টি বুলিং বিধিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

২১) বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিষয়ক প্রদর্শনী ’ চালু করা হয়েছে।

২২) ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে একটি সফল পাইলটিং প্রজেক্ট সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২০ সালে মাধ্যমিকপর্যায়ে তিনটি বিষয়ে (শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, চারু ও কারু, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা) ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি কার্যকর করাহবে। অন্যান্য বিষয়ে শতকরা ২০ ভাগ নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এ উদ্দেশ্যে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির সবশিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে দুইটি ডায়েরি সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে।

২৩) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ২য় গ্রেডের ৩টি পদ সৃজন এবং ৩য় গ্রেডে ৯৮টি পদ আপগ্রেড করা হয়েছে। এছাড়াও ২য়ও ৩য় গ্রেডের আরও ৩৩৫ পদ সৃজন, আপগ্রেডের কাজ চলমান রয়েছে। অভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১২ হাজার ৫০০টি পদ সৃজনেরকার্যক্রমের কাজ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

২৪) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগের জটিলতার আংশিক অবসান ঘটিয়ে ৭০২ জনচাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বছর আরো প্রায় ৪ হাজার কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।

২৫) সব সরকারি কলেজকে ই–ফাইলিংয়ের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২৬) সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং করার জন্যে মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এইমনিটরিংয়ের ফলে অতি দ্রুত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃংঙ্খলা ফিরে আসবে।

২৭) উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।

২৮) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের বিরাজমান সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।

২৯) কলেজগুলোর চাহিদা পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৩০) স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার বেতনকাঠামো কারার জন্য নীতিমালা চূড়ান্ত করা।

৩১) স্কুল ও কলেজ শিক্ষক আত্মীকরণ বিধিমালা প্রণয়ন।

৩২) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

৩৩) বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য অটিজম অ্যাকাডেমি স্থাপনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন হয়েছে।

৩৪) বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজীকরণ করা হয়েছে।

৩৫) দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি এবং পাঠদানের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

৩৬) কওমি মাদ্রাসার পাঠ্যসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৩৭) শিক্ষার্থীদের আমিষের ঘাটতি মেটাতে পরিপত্র জারি করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৬০০০ স্কুলে মিড–ডে মিল চালু করাহয়েছে। ২০২০ সালে পর্যায়ক্রমে সব স্কুলে মিড–ডে মিল চালু করা হবে।

৩৮) বন্ধ থাকা শিক্ষা বৃত্তিগুলো চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৩৯) মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

৪০) প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য মনিটরিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক স্কুলে ওজন ও উচ্চতা মাপার যন্ত্র কেনা হবে।

৪১) রিপ্রোডাকটিভ হেলথ ও জেন্ডার ইকুইটি বিষয়ে সব স্কুলে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৪২) পারিবারিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব স্কুলে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

৪৩) মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বয়স বিবেচনা করে পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা সব অভিভাবকদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থানেওয়া হয়েছে।

৪৪) কো–এডুকেশন চালু আছে যেসব স্কুলে, সেসব স্কুলে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা ওয়াশ ব্লক তৈরি করা হয়েছে।

৪৫) শিক্ষার্থীরা যেন বিদ্যালয়ে খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করার সুযোগ এবং প্রণোদনা পায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

৪৬) ২০১৯ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানো’ শীর্ষক একটি প্রজেক্ট ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অত্যন্তসফলভাবে সম্পন্ন করেছে। প্রজেক্টের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক প্রায় লাখ খানেক রিপোর্টও ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে।

৪৭) প্রজেক্টের মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের ৭টি সফট স্কিলে দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সফটস্কিলগুলো হলো– সৃজনশীলতা, নৈতিকতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, কর্মক্ষমতা, উপযোগীকরণ ও স্বাস্থ্য। এগুলো ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করাহবে।

৪৮) প্রতি বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের দিয়ে শিক্ষাঙ্গন পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

৪৯) শতবর্ষী ১৩টি কলেজকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৫০) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়াল ঘেঁষে সিগারেটের দোকান না রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

৫১) নীতি শিক্ষার অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে ‘সততা স্টোর’ চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব স্কুল–কলেজে ‘সততাস্টোর’ চালু করা হবে।

৫২) সারাদেশের মাধ্যমিক স্কুলে আকস্মিক পরিদর্শন চালু করা হয়েছে এতে বিনা অনুমতিতে শিক্ষকদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতিরহার প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।

৫৩) সারাদেশে ২০ হাজার স্কুলে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।

৫৪) গুচ্ছ ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা একটা মাইল ফলক। এতে ভোগান্তি কমেছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।

৫৫) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে 'শেখ রাসেল দেয়ালিকা' স্থাপন এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে লেখালেখির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ নেওয়া।

৫৬)শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক জাতীয় সংগীতের পর শপথ বাক্য পাঠ করা।

লেখক : সহকারী পরিচালক (অর্থ ও বাজেট), অবসর সুবিধা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা।