গাজীপুর প্রতিনিধি : শনিবার ভোরে নরসিংদ-ঘোড়াশাল সড়কের পার্শ্ববর্তী থেকে মাইক্রোবাস চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় একই এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা ওই মাইক্রোবাসের এক সহকারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

নিহত চালক মো. পারভেজ (১৮), গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মালেকের বাড়ি এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চালক হত্যার অভিযোগে রফিক (২৬) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

গাড়ির মালিক মো.নুরুজ্জামান জানান, শুক্রবার বিকেলে ৬ জন যুবক যাত্রীবেশে মালেকের বাড়ি এলাকা থেকে নরসিংদী যাওয়ার জন্য ভাড়া নেয়।

পরে ঘোড়াশাল এলাকায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাইক্রোবাসের সহযোগী সুরুজ মিয়া ও চালক পারভেজকে গলায় রশি বেঁধে শ্বাসরোধের চেষ্টা করা হয়। এ সময় মারা গেছে ভেবে অচেতন অবস্থায় মাইক্রোবাসের সহযোগীকে রাস্তার পাশে ফেলে চালকসহ গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এর দু’ঘণ্টা পর চেতনা ফিরে পেয়ে সুরুজ এ ঘটনার বর্ণনা দেন।

পরে পুলিশ গিয়ে নরসিংদী-ঘোড়াশাল সড়কের পাশের এক জলাশয় থেকে শনিবার ভোরে চালকের লাশ উদ্ধার করে।

জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাজমুল হক জানান, সহযোগী সুরুজের দেয়া স্বীকারোক্তিমতে শরীফপুর এলাকা থেকে ওই ছিনতাই ও খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার সকালে রফিককে আটক ও উত্তরা থেকে মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক রফিকের বাড়ি টাঙ্গাইলে। তিনি শরীফপুর এলাকায় আব্দুল হালিমের বাড়িতে ভাড়া থেকে এসব ছিনতাইসহ নানা সন্ত্রাসী কাজ করে আসছিলেন।

(ওএস/এনডি/অক্টোবর ১৮, ২০১৪)