অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : শৈশব মানেই হইহুল্লোরে মেতে থাকা। আর দুরন্ত শৈশবে মেতে উঠেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। বাড়ির উঠোন, স্কুলের মাঠ, ফসল বিহীন ক্ষেত, তিন চাকার বিয়ারিং এর গাড়ী কিংবা পরিত্যক্ত রিকসা, সাইকেলের টায়ার নিয়ে ছুটে চলত দস্যিপনা শিশু কিশোররা। কিন্তু শৈশব ও কৈশোরের অদম্য প্রাণশক্তি, নিষ্পাপ আনন্দ, আর দাপিয়ে বেড়ানো গ্রামীণ দুরন্তপনা এখন শুধুই অতীত।

এখনো তিন চাকার বিয়ারিং এর গাড়ি, সাইকেল কিংবা গাড়ির টায়ারকে লাঠি দিয়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে তার সঙ্গে ছুটে যাওয়া শৈশব সবার হৃদয়ে আঁচড় দিয়ে যায়। শহর জীবনে এমন দৃশ্য চোখে না পড়লেও শিশুদের সেই চিরচেনা দুরন্তপনা গ্রামীন জীবনে কিছুটা চোখে পড়ে।

তবে বর্তমানে শিশুদের খেলার মাঠ না থাকায় এ দস্যিপনাগুলো স্থান করে নিয়েছে ডিস এন্টেনার টিভি চ্যানেল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ফেসবুক, মোবাইল গেমসহ নানা ধরনের বিনোদনে। স্কুল ছুটির ফাঁকে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামে শিশু কিশোররা এমন দুরন্তপনায় মেতে উঠে এখনও। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার লিমন পারভেজ বলেন, নানা প্রযুক্তিতে আসক্ত হয়ে শিশুদের দৃষ্টি ক্ষীণ হওয়াসহ চোখের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে অল্পবয়স থেকেই ব্যবহার করতে হচ্ছে চশমা। অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহার, সবুজ দিগন্তে খেলাধুলা না করাসহ বেশ কয়েকটি কারণে শিশুরা চোখের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি উন্মুক্ত মাঠে খেলাধুলা করতে না পারায় শিশুরা শারীরিকভাবে অলস হচ্ছে।

ঝিনাইদহের ফজর আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জয়া রানী চন্দ বলেন, গ্রামীণ ছেলেবেলার সেই সব দিন এখন আর নেই। শৈশব ও কৈশোরের দাপিয়ে বেড়ানো গ্রামীণ দুরন্তপনা শৈশব এখন শুধুই স্মৃতি।

(একে/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০২২)