স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সুইট হোটেলের মালিক আবিদুর রহমান লালু ও তার ম্যানেজার রিপনের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে শহরের ব্যাপারীপাড়ায় তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে লালু বাড়ি থেকে সটকে পড়ে। পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে মামলাবাজ খ্যাত আবিদুর রহমান লালু।

জানা গেছে, ব্যাবসায়ী শাহেদ মিয়া তার ভাগ্নে শিপাত উল্লাহ কৌশিককে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে বুধবার রাতে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর একদল পুলিশ রাতেই লালুকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, জমি নিয়ে বিরোধ থাকার কারণে আবিদুর রহমান লালু কৌশিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও তাকে গলা টিপে ধরে কিল ঘুষি মারতে থাকে। লালু ধারালো চাকু দিয়ে কৌশিককে প্রাণনাশের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। এ সময় কৌশিকের সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে রক্ষা করে। এখনো লালু ও তার লোকজন কৌশিককে খুন জখমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে শিপাত উল্লাহ কৌশিক জানান, লালু তাদের জমি দখল করে সুইট হোটেল নির্মান করেছে। ভুয়া মামলা দিয়ে শরীকদের জমি ফাঁকী দিচ্ছে। ইতিপুর্বে ঝিনাইদহ সদর থানায় এ নিয়ে শালিস বৈঠক হলেও তিনি উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, আবিদুর রহমান লালু ও তার ভাই রফিকুল ইসলাম ডাবলু কৌশিকের স্বজনদের নামে ১৯৯৮ সালে মিথ্যা ডাকাতি মামলা করনে। ১৬ বছর পর সেই মামলা আদালতে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।

বক্তব্য জানতে আবিদুর রহমান লালুর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, শহরের ব্যবসায়ী শাহেদ মিয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করতেই লালুর বাড়িতে পুলিশ গেছে।

(একে/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০২২)