বিশেষ প্রতিনিধি, মাদারীপুর : মাদারীপুরে শৈতপ্রবাহ আর বাহিরে প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাসের ফলে জনজীবন দুর্ভোগে পড়েছে। এদিকে ঘনকুয়াশার কারণে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। গত এক সপ্তাহ ধরে এই পরিস্থিতি চলছে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারী) দুপুর পর্যন্তও সূর্যের দেখা মেলেনি। 

মাদারীপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। এর ফলে দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশায় ঢেকে থাকে রাস্তাঘাট, ফসলি জমিসহ চারপাশ। এক সপ্তাহেও দেখা মেলেনি সূর্যের।

খোজ নিয়ে দেখা যায়, শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কুয়াশার চাঁদরে চারপাশ ঢাকা থাকায় স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘœ ঘটছে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষগুলো ঠান্ডায় বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। এছাড়াও জেলায় প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে রোগ বেড়েছে। এদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে মাদারীপুর স্বাস্থ্য বিভাগ।

মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি গ্রামের কৃষক সফিক বেপারী বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে অনেক শীত। এই প্রচন্ড শীতের মধ্যেও কাজে নামতে হয়। তাই অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েছি।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, এই ঠান্ডায় সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাইনউদ্দিন বলেন, শীতার্থ মানুষের জন্য সরকার বেশকিছু কম্বল বরাদ্দ দিয়েছেন। যার কার্যক্রম এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। তালিকা করে অসহায় মানুষকে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, প্রচন্ড শীতে মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাই তালিকা করে অসহায় মানুষদের মধ্যে কম্বল দেয়া হচ্ছে।

(এএস/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০২৩)