রৌমারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি : মহিলার বয়স ৩০, শিশুটির বয়স ৭-৮। পশ্চিমা ধাঁচের বিভিন্ন আইটেমে কামলীলায় মেতেছে দু’জন। ফটোগ্রাফার আনাড়ি হলেও ভিডিও দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন পোজে।

ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ডাউনলোড দোকানগুলোতে এমন হাজারো পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করা হচ্ছে। এখনই এগুলোকে প্রতিরোধ না করলে আগামীতে শিশু কিশোরসহ সকল শ্রেণির মানুষ এর প্রত্যক্ষ প্রভাবের শিকার হবেন বলে বিশিষ্টজনরা আশংকা করছেন।

রৌমারী উপজেলার ২৩টি বাজারে প্রায় ৩ শতাধিক ডাউনলোড দোকান রয়েছে। এরা গান, নাটক দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি প্রকাশ্যে পর্নোগ্রাফি মোবাইল মেমোরিতে ডাউনলোড দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডাউনলোড ব্যবসায়ী জানায়, বিদেশি পর্নোগ্রাফির চাহিদা এখন আর তেমন নেই। মানুষ চায় দেশি পর্নোগ্রাফি।
তিনি আরও জানান, ভারতের মিজোরাম, মেঘালয়, আসাম, কোলকাতা ও বাংলাদেশি যৌনকর্মীর, ভালবাসার নামে ডেটিংয়ের, খেলার ছলে অথবা গোপন ক্যামেরায় তোলা জোরপূর্বক ধর্ষণের রগরগে ভিডিও দৃশ্য এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে শিশুদের পর্নোগ্রাফির চাহিদা অনেক বেশি। মাত্র ১০ টাকায় মিলছে এ সকল ভিডিও চিত্র।

স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সহজেই এসব দৃশ্য ডাউনলোড নিতে পাচ্ছে এ বয়সেই। ফলে প্রেম-ভালবাসার নামে নিভৃতে মিলিত হয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদুল আজহার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬টি এমন ঘটনা ঘটেছে। সবাই আত্মহত্যা না করলেও থানা পুলিশী ঝামেলায় জাড়িয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বয়সের বাধ্যবাধকতায় বিয়ে দেয়া সম্ভব হয় না। প্রায় সকল শিক্ষার্থীর নিকট মোবাইল সেট থাকায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা।

(অারঅাই/জেএ/অক্টোবর ১৮, ২০১৪)