এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : মানব কল্যাণের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে পরিচিত যুবক কালুখালীর নারদ হালদার আর নেই। বন্ধু স্বজনদের দু:খাঞ্জলী দিয়ে বুধবার দিরাগত রাত সারেবারোটায় তিনি পরপারে যাত্রা করেছেন।

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া গ্রামের যুবক নারদ হালদার। তার পিতার নামপূর্নচন্দ্র হালদার । নারদের ২ শতাধিক বন্ধুবান্ধব উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও দারিদ্রতার কারণে অল্প শিক্ষা নিয়েই তার পড়ালেখার ইতি টানতে হয়। তারপর মানবিক শিক্ষা, উন্নতসমাজ গড়ার শিক্ষা, খেলাধুলা চর্চা, উন্নত জাতি গড়ার শিক্ষা এসব নিয়ে জ্ঞান আহরণ করতো নারদ। কালুখালীকে আধুনিক ছোয়ায় দাঁড় করানোর স্বপ্ন দেখতে নারদ।

আধুনিক কালুখালী গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সে বন্ধুদের সহযোগীতায় গড়েতোলে ছাত্র কল্যাণ সংঘ। শীতার্তদের বস্ত্র বিতরন,বন্যার্তরে খাদ্য বিতরন ,দুরারোগ্যদেরচিকিৎসা ব্যবস্থা বন্ধুদের নিয়ে এসবই করে বেড়াতো নারদ । আর এ কাজের মধ্যদিয়ে সেনিজেই যে দুরারোগ্য তা বুঝে উঠতে পারেনি। যখন বুঝলো তখন আর আরোগ্য হবারসময় ছিলো না।

মানবতা কর্মী নারদের ব্রংকাইটিস ধরা পরে। উদ্দীপ্ত যুবক কংকাল হয়ে যায়। তারপরওমানবতার কথা বলতেই থাকে। বুধবার সন্ধায় মৃত্যু শয্যায় শুয়েই বলছিলো এবার চরাঞ্চলেশীত বস্ত্র দেওয়া হলো না । কালুখালীর ক্রীড়াজগত ঝিমিয়ে যাচ্ছে,বেগবান করতে হবে। একটু ভালো হলে সব করবো। সেই ভালো আর হলো না । বুধবার রাত ১২-৩০ । চলে গেল নাফেরার দেশে।

৩৮ বছর চন্দনা নদীতে গোসল করে পবিত্র হতো মানবতা কর্মী নারদ। এবার সেই নদীরকাশিনাথপুর শ্মশান ঘাটে শবদেহ দাহ হলো, মিলিয়ে দেওয়া হলো নদীর জলে।

(একে/এএস/জানুয়ারি ০৯, ২০২৩)