বাগেরহাট প্রতিনিধি : বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাস। তিনদিন ধরে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে পাগমার্ক নামের বিলাসবহুল একটি পর্যটকবাহী লঞ্চে করে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের আকষর্ণীয় পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। এসময়ে তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে শরণখোলা রেঞ্জের কটকার জামতলা সীবিচ থেকে ৬ কিলোমিটার পায়ে হেটে কচিখালি পৌছান। জীববৈচিত্র্যে আধার পৃথিবীর বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনে দেখতে পান হরিণ, কুমির, বারন, শুকরসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রানী। 

আজ মঙ্গলবার সকালে শেষ দিনে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাস।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মো. আজাদ কবির জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাসদূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে রবিবার সকালে পাগমার্ক নামের বিলাসবহুল একটি পর্যটকবাহী লঞ্চে করে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবন ভ্রমনে আসেন। তিনদিন ধরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুন্দবনের পূর্ব বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের জীববৈচিত্র্য ঘুরে দেখেন। রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাস এসময়ে দিনরাতে ৬ বার রূপ বদলানো সুন্দরবনের নৈসর্গিক দৃশ্যসহ প্রাণপ্রকৃতি উপভোগ করেন। ঘুরে ঘুরে দেখেন সুন্দরবনের হারবাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র, সূর্যেদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পাওয়া শরণখোলা রেঞ্জের জামতলা সীবিচসহ কটকা কচিখাখি এলাকার গহীন অরণ্যের জীববৈচিত্র্য দেখে মুগ্ধ হন।

এসময়ে তিনি কটকার জামতলা সীবিচ থেকে ৬ কিলোমিটার পায়ে হেটে গহীন অরণ্যের মধ্যদিয়ে কচিখালি পৌছান। দেখতে পান হরিণ, কুমির, বারন, শুকরসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রানী। সুন্দরবন ভ্রমনের শেষ দিনে মঙ্গলবার সকালে করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাস। করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রের হরিণ, কুমির ও বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাচকার সেডসহ ম্যাপিং জোন পরির্দশন করেন। ফটট্রেলে হেটে ও টাওয়ারে উঠে সুন্দরবনের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করেন। বন কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের সাথে ছবিও তোলেন রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাস।

(এসএকে/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০২৩)