দীপক চক্রবর্তীর চারটি ছড়া
| দীপক চক্রবর্তী |
বাঙ্গালী ভীরু নয়
বাঙ্গালী ভীরু নয়
একাত্তরে বলেছে
পাকেদের গর্ব
পদতলে দলেছে।
গোলা-গুলি রক্ত
ও-সবে পোক্ত
বাঙ্গালীর একতা
মা-মাটির ভক্ত।
মা-মাটি রক্ষায়
যুদ্ধই গন্য
নিজেদের করে দান
হয়ে গেছে ধন্য।
লাখো শহীদের রক্তে
এসেছে বিজয়
বাঙ্গালী ভীরু নয়
এ কথা বোঝায়।
লোডশেডিং
গরমের যন্ত্রনায়
ছট-ফট করি
কেঁদে বলে মেয়েটা
উহ! বাবা মরি।
ধড়-ফড় করে উঠে
দেখি নেই বিদ্যুৎ
চাকরকে ডেকে বলি
পাখা আন প্রদ্যুৎ।
তৃষ্ণায় বুক ফাটে
পানি নেই ঘরে
ওয়াসাকে দেই গাল
মুখ মনে করে।
নেই পানি নেই পাখা
শুয়ে পড়ি বেডিংয়ে
ভাবি শুয়ে কতো জ্বালা
এই লোড শেডিংয়ে।
ডিজিটাল হলে দেশ
চলবে তো ভালো
আন্ধার দূর হয়ে
জ্বলবে কি আলো ?
কীট
আমলা দালাল টাউট থেকে
চায় জনগণ মুক্তি
থানা অফিস সব খানেতেই
আছে গোপন চুক্তি।
মিষ্টি কথার মিথ্যাচারে
খায় জনতার রক্ত
অফিস গুলোর বড় সাহেব
ওদের খুবই ভক্ত।
পরের কাজে ব্যস্ত থাকে
আমলা দালাল টাউট
টাকা ছাড়া কাজ করেনা
রেগে বলে আউট।
জোর দাপটে চলে ওরা
চুলে দিয়ে হিট
ওরাই হলো রক্ত চোষা
দালাল নামের কীট।
ভেজাল
ভেজাল ভেজাল সবই ভেজাল
ভেজাল মাছে-ভাতে
ভেজাল খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ি
দিনের শেষে রাতে।
তেলে ভেজাল জলে ভেজাল
ভেজাল গরুর দুধে
সবার থেকে বেশী ভেজাল
এনজিওরই সুদে।
চলায় ভেজাল বলায় ভেজাল
ভেজাল রোগীর পথ্য
এই বাঙ্গালীর সবই ভেজাল
এটাই হলো সত্য।
নেতায় ভেজাল কথায় ভেজাল
ভেজালেতেই চলছে দেশ
ভীন দেশীরা বলছে শুনি
বেশ বাঙ্গালী বেশ।