রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৭নং পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মন্ডলের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিয়নের ৯ জন ইউপি সদস্য/সদস্যাগণ। তারা চেয়ারম্যান প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনের পর ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু থেকেই পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মন্ডল নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সকল ক্ষেত্রেই সব কাজের পরিপত্রকে উপেক্ষা করে পরিষদের সদস্যদের সাথে কোন রকম পরামর্শ না করে বেপরোয়া ও অবৈধভাবে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ নিয়ে ইউনিয়নবাসী বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।

মেম্বাররা তাদের লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১% এর উত্তোলনকৃত অর্থ ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাৎ, ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স আদায়ের অর্থ নিয়ম মাফিক ব্যাংকে জমা না রেখে নিজেই পকেটস্থ, জন্ম নিবন্ধনের সরকারি নির্ধারিত ফি দেওয়া সত্ত্বেও অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয় জনসাধারণের কাছ থেকে, গ্রাম আদালতের ফি ১০/২০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান সেখানে ২০০+২০০=৪’শ করে টাকা নেয়, টিসিবি’র সুবিধাভোগীর নামীয় কার্ডের মাল নিজের কাছে রেখে কার্ডধারীকে না জানিয়ে চেয়ারম্যান মাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ, ভিজিএফ এর ৮৪ বস্তা চাল কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ না করে কালবাজারী (চুরি) করে বিক্রি করে যাহা পরবর্তীতে পুলিশ চাল গুলি জব্দ করে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বিডব্লিউবি (ভিজিডি) চক্রে অন্তর্ভূক্তির তালিকা অনিয়ম করে অর্থের বিনিময়ে দরিদ্র লোকদের বাদ দিয়ে নিজস্ব আত্মীয়স্বজনের মাঝে কার্ড বিতরণ করা সহ, ২০২১-২২ অর্থ বছরে এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত অর্থ ভূয়া প্রকল্পের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান। তবে নির্বাহী অফিসার আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান। এর আগে উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিকবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে ফলাও করে খবর প্রকাশ করায় তিনি সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে।

(আর/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০২৩)