বরগুনা প্রতিনিধি : পাথরঘাটায় প্রধান শিক্ষক কর্তৃক  স্কুলের ময়লায় আগুন দেয়াতে গিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পাথরঘাটা হাসপাতালের ডাক্তার দ্রুত শিশুটিকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেছেন বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ শিশু ফারজানা (৮) ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা ৮ নং ওয়ার্ডের ফারুক খানের মেয়ে।

খোজনিয়ে জানাগেছে, ঘটনার সময় বিদ্যালয় ও আশেপাশে থেকে কুড়ানো পুরাতন কাগজপত্র,ময়লা-আবর্জনায় আগুন দেয় মেয়েটি। এসময় আগুনে মেয়েটির পায়ের তালু এবং মুখ-মন্ডল ব্যতিত সারা শরীর আগুনে ঝলসে যায়। লাকুরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা বেগম সহ শিক্ষকরা ওই ছাএীকে দিয়ে একাজ করাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় স্কুল ছুটির পর স্কুলের পুরাতন ভবনের নিচে ময়লা আর্বজনায় আগুন দেয় ফারজানা। এতে আগুন গায় লেগে ৯০ ভাগ পুরে যায়।

তাৎক্ষণিক তাকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নাসির অগ্নিদগ্ধ ফার্জানাকে দ্রুত গতিতে ঢাকা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।

এ রিপোর্ট বিকেলে তৈরিকালে অগ্নিদগ্ধ শিশু শিক্ষার্থী শিশু শিক্ষার্থী ঢাকার পথে অ্যাম্বুলেন্সে ছিলো।

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা বেগম বলেন, সামাজিক কাজের অংশ হিসেবে ময়লা আবর্জনায় আগুন দেয় শিক্ষার্থীরা। ওই স্থানথেকে যাওয়ার সময় শিশুটির গায়ে আগুন লাগেৃ।

(এটি/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০২৩)