কাজী দেলোয়ার হোসেন : সারাদেশে এখন উন্নয়নে হাওয়া বইছে। দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু র্টানেল সহ দেশের আরো একশত ব্রিজ আজ দৃশ্যমান। এ উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করছে দেশের সকল জেলার মানুষ। তেমনি সাভার পৌরসভায় ও এ উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। একসময়ে নৌকায় মানবেতর জীবনযাপন করা বেদে পরিবার গুলোও প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে অনেক সাবলীল ভাবে বসবাস করছে। 

সাভার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বেদে পাড়া। এ এলাকার প্রায় বেদে পরিবারের দশ হাজারের মতো মানুষ বসবাস করে। বৃটিশ আমল থেকেই প্রায় অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম এই বেদে পরিবার গুলো। ছিলো না কোন স্থায়ী ঠিকানা। আওয়ামী লীগ সরকার যেন বদলে দিয়েছে এ অবহেলিত বেদে গোষ্ঠীর জীবনযাপন। হচ্ছে একের পর এক উন্নয়ন। এলাকার এমন উন্নয়নে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে বেদে সম্প্রদায়ের মানুষজন।

বেদে পাড়া এলাকার সাধারণ জনগণ বলছে, আমাদের এ এলাকায় আমরা বেদেরা সবাই একসাথে বসবাস করি। এ ড্রেনটি হওয়াতে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। আগে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকতো। ময়লা আবর্জনা জায়গায় জায়গায় জমে থাকতো। এখন আর কিছুই জমে থাকবেনা। আমাদের এলাকার পরিবেশ এখন আরো সুন্দর হবে।

সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বেদে পাড়া এলাকার একটি ড্রেন যা লম্বায় ১৭৫ ফিট, চওড়া আড়াই ফিট, উচ্চতা দুই ফিট ড্রেনের কাজের পরিদর্শন করেন যুবলীগ নেতা ও ১নং ওয়ার্ড কমিশনার রমজান আহমেদ।

এ উন্নয়নের জন্য ওয়ার্ডবাসী প্রধানমন্ত্রী ও কমিশনার মোঃ রমজান আহমেদকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ১নং ওয়ার্ডের বেদে পাড়ার এলাকার বাসিন্দারা।

ওয়ার্ডের বাসীন্দা মোহাম্মদ খোকন মিয়া বলে, আমরা বেদে পরিবাররা বৃটিশ আমল থেকে অবহেলিত। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসল আজও আমরা অবহেলিত থাকতাম। আমরা চাই আওয়ামী লীগ সরকার বারবার দেশের হাল ধরুক।

এসময় ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা রজন খান বলেন, আমরা একসময় নৌকায় মানবেতর জীবনযাপন করেছি। হাবিব স্যার ও যুবলীগ নেতা মোঃ রমজান আহমেদ ভাই তারা যে আমাদের অবহেলিত মানুষদের প্রতি এতো সুদৃষ্টি দিয়েছে যার কারণে আমরা এখন সচ্ছল ভাবেই এখানে বসবাস করতে পারছি। তারা না থাকলে হয়তো আমরা আর কখনও আলোর মুখ দেখতে পারতামনা। হাবিব স্যারের সহায়তায় ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমরা এ এলাকার উন্নয়ন পেয়েছি। যদি তারা আমাদের দিকে সুদৃষ্টি না দিত তাহলে মনে হয় না আমরা আর কোনদিন আলোর মুখ দেখতাম।

(কেডি/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০২৩)