নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলায় আমন চাষের শেষ সময়ে এসে ক্ষেতে বাদামি গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা)এর আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। আবাদ উদ্বৃত্ত নওগাঁ জেলার খাদ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত সাপাহার উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন  ফসল রোগবালাই মুক্ত রাখা ও বাম্পার ফলনের মাধ্যমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে উপজেলা কৃষি বিভাগ নিরলস ভাবে কাজ করছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৭ হাজার ৩শ’ ৮০ হেক্টর জমি। ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ৩শ’ ৮৬ হেক্টর জমি আমন চাষের আওতায় এনে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হয়েছে। এবারে প্রথম দিকে রোপা আমন ধানের ক্ষেতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারী আকারে রোগ বালাই এর প্রাদূর্ভাব না হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে। এ উপজেলায় আমন ধানের নির্ধারিত উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ এবারের রোপা আমনের বাম্পার ফলন অর্জনের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের পাশাপাশি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ টিম গঠনের মাধ্যেমে প্রতিটা মাঠে সার্বক্ষনিক বিচরণের মধ্যদিয়ে মাঠের ফসল তদারকি করছে। একই সঙ্গে আমন ফসলের রোগ বালাই সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করতে উপকারী ও ক্ষতিকারক পোকা মাকড় সনাক্ত করার জন্য রাস্তার মোড়ে মোড়ে রাতের বেলা আলোক ফাঁদ স্থাপন করে কৃষদের মাঝে বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদান করছে। সূত্র আরো জানায়, আলোক ফাঁদের মাধ্যেমে ফসলের মাঠে পোকার উপস্থিতি সহজেই নির্নয় করা যায়।

এ ছাড়া আমন ধানের ক্ষেতে শীষ কাটা মাজরা পোকা, কারেন্ট পোকা, বাদামী ঘাঁস ফড়িংসহ যে কোন প্রকার রোগ বালায় যাতে আঘাত হানতে না পারে সে জন্য সকল ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ হাট বাজার, রাস্তার মোড়ে মোড়ে পথসভা করছেন। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সকল অনূষ্ঠান সমুহে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করছেন। সম্প্রতি সময়ে আমন ক্ষেতে বাদামি গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা) আক্রমনে এলাকার কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন কোম্পানীর কীটনাশক ছিটিয়েও পুরোপুরি বাদামি গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা) নির্মূল করতে পারছেনা।

(বিএম/এএস/অক্টোবর ১৯, ২০১৪)