শেখ ইমন, শৈলকুপা : চাকরি দেওয়ার নামে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। টাকা ফেরত পেতে স্থানীয়ভাবে শালিস-বৈঠকও করেছে ভুক্তভোগী। তাতে কোন লাভ হয়নি। টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা দেয়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন দাখিল করেছে ভ’ক্তভোগী। তবে অভিযুক্ত বলছেন, অভিযোগকারীকে তিনি চেনেন না। এসব মিথ্যা অভিযোগ।

জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল (স্নাতক)সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আঃ সাত্তার ফিরোজীর কাছে ছেলের চাকরি দেওয়া বাবদ ৭ লক্ষ টাকা দেন ঝিনাইদহের ভুটিয়ারগাতি গ্রামের মৃত সদর উদ্দিনের ছেলে হেকমত আলী। পরে চাকরি দিতে ব্যর্থ হয় আঃ সাত্তার ফিরোজী। এঘটনার পর টাকা ফেরত চাইলে অজুহাত, তালবাহানা ও নানারকম হুমকিও দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীর।

ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে দায়েরকৃত পিটিসন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী হেকমত আলী তার ছেলে ইমরানের চাকরির(এমএলএসএস)পদের জন্য পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল (স্নাতক)সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার ফিরোজী কে ৩ দফায় ৭লাখ টাকা দেন। তবে চাকুরী দেয়া হয়নি তার মাদ্রাসায়।

ভুক্তভোগী হেকমত আলী জানান, অধ্যক্ষ আঃ সাত্তার ফিরোজীর সাথে চেনাজানা ছিল। এই সুযোগে তার প্রতিষ্ঠানে (এমএলএসএস) পদে ছেলের চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে চাকুরী দিতে পারেননি। পরে টাকা ফেরত চাইলেও দেয়নি। স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠকও হয় এঘটনায়। টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও টাকা দেয়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। যার পিটিশন নং ৭৩৩/তাং ২৪-১০ ২০২২ ইং।

পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আঃ সাত্তার ফরাজী বলেন, বহুবছর ধরে এমএলএসএস পদ ফাঁকা নেই, ফলে সেখানে কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি। এ ব্যাপারে কারো কাছ থেকে অর্থও নেয়া হয়নি। অভিযোগকারী কে তিনি চেনেন না, জানেন না। মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি নূর আলম তার বিরুদ্ধে নানা মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলে জানান ।

এ ব্যাপারে পাঁচপাখিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল (স্নাতক) সিনিয়র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি নূর আলম বিশ্বাস জানান, এ ঘটনার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিৎ। তার সময়ে অতি গোপনে এসব টাকা লেনদেন হতে পারে। সে অনেকের কাছ থেকেই এভাবে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান আহবায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি মাদ্রাসায় নতুন আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এ ঘটনার কোন কিছুই তিনি জানেন না।

(এসআই/এসপি/জানুয়ারি ২১, ২০২৩)