আসাদ সবুজ, বরগুনা : বরগুনায় নবম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলে তা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগীর পরিবার। 

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের ফুলঝুড়ি খেয়া ঘাটে বসে অভিযুক্তরা মামলা তুলে নিতে এ হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী একই এলাকার মৃত লতিফ সিকদারের মেয়ে। সে বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

এ হুমকির বিষয়ে রবিবার (২২ জানুয়ারী) বেলা ১২টার সময় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর নানা মোতালেব হাওলাদার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বামনার খোলপটুয়া এলাকার আবদুল হাই সিকদারের ছেলে মো. রিমন (২২) প্রায়ই ওই স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করতো। এরপর গতবছরের ২০ নভেম্বর সকালে স্কুলে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে চেতনানাশক ঔষধ ব্যবহার মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে নির্ধারিত সময়ে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা স্কুলছাত্রীকে খুঁজতে বের হয়। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীকে বামনা উপজেলার খোলপটুয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে স্বজনরা।

পরে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী পুরো ঘটনা তার স্বজনদের খুলে বললে গতবছরের ৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর নানা বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই নানাভাবে ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গোটা পরিবার।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর নানা মোতালেব হাওলাদার বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা করেছিলাম। এখন উল্টো অভিযুক্তরা আমাদের এলাকাছাড়া ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমাদের পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতায় আছি।

তিনি বলেন, বাকাবিল্লাহ মেম্বার, তমাল তালুকদার, আয়নালসহ আরও অনেকে আমাদের সরাসরি হুমকি দিচ্ছে। আমরা এলাকা ছেড়ে বরগুনায় এসে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই এবং জীবনের নিরাপত্তা চাই।

এবিষয়ে জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, মামলাটি ডিবি তদন্তাধীন রয়েছে। আমরা তদন্ত শেষে অতি শীগ্রই চুড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করবো।

(এএস/এসপি/জানুয়ারি ২২, ২০২৩)