স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী পরিচালিত নৌ-অপারেশন ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের সব কার্যক্রম তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নির্মাণের আগের কার্যক্রম বাতিল করে এবং নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম রচিত চিত্রনাট্য অগ্রাহ্য করে টেন্ডারের মাধ্যমে কিবরিয়া ফিল্মসকে ওই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য দেওয়া কার্যাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।


ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত টেন্ডারের কার্যক্রমও স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (২২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার আসিফ বিন আনোয়ার। রিটকারী আইনজীবীরা আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রবিবার সকালে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য কিবরিয়া ফিল্মসকে দেওয়া কার্যাদেশ বাতিল চেয়ে রিট করা হয়। চলচ্চিত্র পরিচালক আবু রায়হান মো. জুয়েল এ রিট আবেদন দায়ের করেন।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমা ‘অপারেশন জ্যাকপট’। তবে এ সিনেমার পরিচালক নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও মোরশেদুল ইসলাম।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টরে পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন নিয়ে সিনেমা নির্মাণ তদারকির দায়িত্ব আগে ছিল নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাছে। সে সময়ে তারা গিয়াস উদ্দিন সেলিমকে সিনেমার চিত্রনাট্য তৈরি ও পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। চিত্রনাট্য তৈরিতে কয়েক বছর কাজও করেন সেলিম।

তবে বছর দেড়েক আগে তদারকির দায়িত্ব পায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ডাকা দরপত্রে ‘যোগ্য’ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে কিবরিয়া ফিল্মস। তারা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুসহ চার জন পরিচালকের নাম প্রস্তাব করেছে। তাদের মধ্যে ঝন্টুর দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দরপত্রে গিয়াস উদ্দিস সেলিমের প্রতিষ্ঠান ‘আশীর্বাদ চলচ্চিত্র’ অংশ নিলেও তারা কাজটি পায়নি। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের অবস্থান ‘নিয়ম বহির্ভূত’ উল্লেখ করে আশীর্বাদ চলচ্চিত্রকে বাদ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। তারই ধারাবাহিকতায় রিট করা হয়।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ২৩, ২০২৩)