রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাবল ও কোদাল দিয়ে মাটির  মধ্যে গর্ত করে সীমানা পিলার অনুসন্ধানকালে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি লোহার শাবল ও দুটি কোদাল উদ্ধার করা হয়। গতকাল রবিবার ভোর তিনটার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন গণেশপুর গ্রামের আকাম শেখের জমি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। তবে দিনভর নাটকীয়তার মাধ্যমে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আটককৃতের মধ্যে পাটকেলঘাটা থানাধীন গণেশপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ ওরফে সরু খাঁ গাজীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও ধানদিয়া গ্রামের একজন ও কলারোয়ার তিনজন রয়েছে।

গণেশপুর গ্রামের সামছুর শেখ জানান, আকাম শেখের জমিতে মূল্যবান সীমানা পিলার রয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে তাদের গ্রামের সিরাজুল গাজীর নেতৃত্বে ধানদিয়া গ্রামের একজন, কলারোয়ার তিনজন শনিবার মধ্যরাত থেকে সেখানে অবস্থান নিয়ে কোদাল ও শাবল দিয়ে গর্ত খুঁড়তে শুরু করে। রবিবার ভোর তিনটার দিকে খবর পেয়ে খলিশখালি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আজিজুল ইসলামের নেততেৃ পুলিশ ওই পাঁচজনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি কোদাল ও দুটি শাবল উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, আটককৃতদের ছাড়াতে একটি মহল দিনভর খলিশখালি ফাঁড়িতে দেনদরবার অব্যহত রাখে। একপর্যায়ে দফা রফা হয়।

তবে খলিশখালি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক আজিজুর রহমানের কাছে রবিবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কয়েক দফায় ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে রবিবার রাত ৮টায় পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার রায় জানান, তিনি সন্ধ্যার পর থানায় ফিরেছেন। আটককৃতদের নাম তার জানা নেই। সন্দিগ্ধ ওইসব লোকজনের কাছে উল্লেখযোগ্য কিছু না পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছেন ক্যাম্প ইনচার্জ।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ২৩, ২০২৩)