দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এবার ১৫ গ্রামবাসীর মধ্যে ২ ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন  আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় হামেরদী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে লাঠিচার্জ করে গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এসময় হামলাকারীরা বেশ কিছু দোকানপাট, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ ভাংচুর করে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে মুনসুরাবাদ এলাকায় স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলর মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়। তখন দুর্ঘটনাকৃত পরিবহনের ড্রাইভার ভেবে মুনসুরাবাদ এলাকার মউদুল সহ উত্তেজিত গ্রামবাসী পাশের বড় মুসকুন্নি গ্রামের তাইজুলকে মারধর করে। পরে হামলাকারীরা জানতে পারে তিনি গাড়ীর ড্রাইভার নয়। এই নিয়ে তখন দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এক শালিস বৈঠকেের সিন্ধান্ত হয়। তারই সুত্র ধরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বর্তমান চেয়ারম্যান খোকন সহ সাবেক আরো ২ চেয়ারম্যান এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিসিতে উপস্থিত হয়। শালিস চলাকালে বড় মুসকুন্নি গ্রামের তাইজুল উত্তেজিত হয়ে মুনসুরাবাদ গ্রামের মউদুল ও তার লোকজনের উপর হামলা করে বসে। তখন মুনসুরাবাদ এলাকার আশপাশের ৪ গ্রাম ও বড় মুসকুন্নি এলাকার ১১ গ্রাম ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে গ্রামবাসীরা দেশীয় অস্ত্র (ডাল, কালি, টেঁটা, রানদা) নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করে। এছাড়া রাস্তার ইট উঠিয়ে একে অপরের প্রতি নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় হামলাকারীরা ইউনিয়ন পরিষদের জানালা, দরজা, মাদ্রাসা ও দোকান পাঠ ব্যাপক ভাংচুর করে।

এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম জানান, ২ দিন আগে বড় সংঘর্ষ ঘটনা যেতে না যেতেই আবারও হামেরদী ইউনিয়নের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশের একটি ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষেই অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

(ডিসি/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০১৩)