সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের বিরোধকে কেন্দ্র করে পাঁচটি দোকান ভাঙচুরসহ আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বসুখালি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলার শোভানালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, তার ওয়ার্ডের সহ- সভাপতি অমেদ আলীর ছেলে ফারুক হোসেন সম্প্রতি একটি নারী ঘটিত কেলেঙ্কেকারীতে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আলীর নেতৃত্বে একাংশ অমেদ আলীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

তিনি আরো জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বসুখালি বাজারে ক্যারাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুনসুর আলীর ছোট ভাই সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে ফারুকের তর্ক হয়। বিষয়টি ফারুক কালীগঞ্জ উপজেলার চিংড়িখালি গ্রামের ভূমিহীন নেতা হাসান মীরকে অবহিত করে। এরই জের ধরে রাত ৯টার দিকে ফারুক ও হাসান মীরের নেতৃত্বে ৫০/৬০জন বসুখালি বাজারের আমীর আলী পেয়াদা, আক্কাস আলীসহ ছয়টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসের টেলিভিশন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আগুণ লাগিয়ে দেয়।

শোভনালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অমেদ আলী জানান, তার ছেলে ফারুককে জড়িয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, বসুখালি গ্রামের এরশাদ আলী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের পক্ষে নির্বাচন করে। এরপর স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কয়েকজনকে ম্যানেজ করে দলীয় অফিস নির্মাণের নামে সে বসুখালি বাজারের কিছু সরকারি খাস জমি দখলের চেষ্টা করে আসছিল। ফারুক হোসেন এর বিরোধিতা করে। এরই জের ধরে সোমবার রাতে ওই বাজারের একটি চায়ের দোকানে হামলার পর আগুন দিয়ে ফারুককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে তার প্রতিপক্ষরা।

(আরকে/জেএ/এপ্রিল ২৯, ২০১৪)