একে আজাদ, রাজবাড়ী : নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়েই চলছে মাদক বেচাকেনা ও সেবন। এতে ধংশ হচ্ছে যুব সমাজ। বর্তমানে বিশ্বে যত সমস্যা রয়েছে তার শীর্ষনীয় সমস্যা মাদক। পাংশা মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকলেও মাদক বেচাকেনা, সেবন ও পাচার বাড়ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় কিছুতেই কমছে না মাদক বেচাকেনা ও সেবন। একটা যুদ্ধে যা করতে পারে না এই মাদক সেটা করতে পারে। যুব সমাজ কে ধংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে এই মাদক। শুধু পাংশা শহরে না, পাংশা উপজেলার প্রতন্ত গ্রামাঞ্চলে এই মাদক ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পরছে। দিন দিন বেড়েই চলছে মাদক বেচাকেনা ও সেবন। এতে করে যেমন যুব সমাজ ধংসের পথে, তেমনি সমাজও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

মাদকের বিশাল ছোবল শেষ করে দিচ্ছে তারুণ্যের শক্তি ও সম্ভাবনা। সর্বনাশা মাদক ধ্বংস করে একটি মানুষের শরীর, মন, জ্ঞানবিবেক ও তার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা তার পরিবারের সব স্বপ্নকে এবং তার উজ্জ্বল ভবিষ্যেক। শুধু পরিবারকে নয়, মাদকের কালো থাবা ধ্বংস করে একটি সমাজকে, একটি জাতিকে এবং পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে এটি বৃহত্ আকার ধারণ করে একটি ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। তরুণ তাজা প্রাণের অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ায় পিছিয়ে পড়ছে সমাজ। বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন পথে, মাদক ঢুকে পড়ছে আমাদের সমাজে।

আর এই মাদক সমাজে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে।অনেক সময় দেখা যায় নেশার টাকার জন্য অনেকেই চুরি ছিনতাই অনান্য অপরাধ মুলক কর্মকাণ্ডে জরিয়ে পড়ে। পারিবারিক ঝামেলা সৃষ্টি হয়৷ স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে রা মাদকে বেশি আসক্ত হচ্ছে। এতে করে যেমন তরুন সমাজ নষ্ট হচ্ছে, পাশাপাশি দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গুলোও নষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, মাদকাসক্ত হয়ে এলাকার যুব সমাজ আজ ধংসের পথে। তারা মাদকাসক্ত হয়ে নানা রকম অপরাধ মুলক কর্মকাণ্ডে জরিয়ে পড়ছে। এতে করে সমাজে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত এই মাদকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে এই সমাজ, খুব তারাতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হলে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সকল কে মাদক এর বিরুদ্ধে থেকে মাদকদ্রব্য ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে ও স্থানীয় প্রশাসনের ভুমিকাও অপরিসীম ।স্থানীয়রা আরো বলেন, এক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অগ্রনি ভুমিকা পালন করতে হবে তারা কঠোর ভাবে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে মাদক নির্মুল করা সম্ভব।

(একে/এএস/জানুয়ারি ২৮, ২০২৩)