আসাদ সবুজ, বরগুনা : বরগুনায় নদী কিনে মাছ শিকার করতে হচ্ছে জেলেদের। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। নদী বিক্রি নিয়ে জেলেরা জড়িয়ে পড়ছেন হামলা, পাল্টা হামলা এবং মামলায়। আর এসবের নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নেড়ে আর্থিকভাবে ফায়দা লুটছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনার পায়রা নদীর ৫ শ' হাত বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায় আর ১ হাজার হাত নদী বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। তাদের অভিযোগ- স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বিক্রি হচ্ছে নদী। আর নদী বিক্রির টাকার সিংহভাগ পকেটে পুড়ছেন প্রভাবশালীরা। এ কারনে নদী বিক্রির প্রতিবাদ করলে শিকার হতে হয় হামলা মামলার।

বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোনবুনিয়া গ্রামের জেলে আবদুল মান্নান। পায়রা নদীতে মাছ ধরার জন্য জন্য তালতলী উপজেলার ছোট ভাইজোড়া গ্রামের ইদ্রিসের কাছ থেকে ১ হাজার ২শ হাত নদী কিনেছেন তিনি। যার দাম পড়েছে ৬ লাখ টাকা।

জেলে আবদুল মান্নান বলেন, পায়রা নদীর এক হাজার হাত আমি ৬ লাখ টাকায় কিনেছি৷ তালতলীর ইদ্রিস নামের একজনের কাছ থেকে নদী কিনে এখানে মাছ ধরি। আমার মত আরও অনেকেই এভাবে নদী কিনে মাছ ধরছেন৷

অভিযুক্ত পনু মল্লিক বলেন, নদী বিক্রির কোন প্রমান নেই৷ এটি বানোয়াট কথা। টাকা নেওয়ার কোন প্রমান কেউ দেখানে পারবেনা৷ উল্টো জেলেরা তাদের জাল অন্য জেলের কাছে বিক্রি করছে।

বরগুনার পুলিশ সুপার আবদুস ছালাম বলেন, এভাবে নদী বিক্রি করা বেআইনি। সাধারণ জেলেরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে নদীতে মাছ ধরতে পারে সে জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০১৩)