আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : দীর্ঘদিন হত্যা মামলায় আত্মগোপনে থেকে কৌশলে পালিয়ে সৌদি আরবে যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলার মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌ-ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা।

আজ রবিবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ প্রবীর মিত্র বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তামিম মীর (২১) মুলাদীর বোয়ালিয়া গ্রামের খোরশেদ আলম মীরের ছেলে। নারায়নগঞ্জের সদর উপজেলার চরবক্তাবলী ইউনিয়নের লহ্মীনগর গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে নুরুল আমিন হত্যা মামলায় তামিম অন্যতম আসামি। মামলার পর থেকে আত্মগোপনে থাকা তামিম কৌশলে পালিয়ে ২৭ জানুয়ারি রাতে সৌদিআরব যাচ্ছিলেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ঢাকার বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেপ্তারের পর তামিম মীর ওই হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) শেষকার্যদিবসে তামিম মীরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গতবছরের ১০ অক্টোবর নুরুল আমিন তার চাচাতো ভাই কামরুল ইসলামের শ্বশুর খোরশেদ আলম মীরের মুলাদীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেখানে বসে ব্যাবসায়িক দ্বন্ধে কামরুল ইসলাম তার শ্যালক তামিম মীরকে সাথে নিয়ে নুরুল আমিনকে হত্যা করে লাশ আড়িয়াল খা নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনার পর পরই কামরুল সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যায়। দুইদিন পর ১২ অক্টোবর আড়িয়াল খা নদীতে নুরুল আমিনের লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় ১৮ অক্টোবর খোরশেদ আলম মীরকে গ্রেপ্তারের পর তিনি এ হত্যাকান্ডের সাথে তার মেয়ে জামাতা ও ছেলে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০১৩)