বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ী বাজারে সংঘর্ষের ঘটনার দুদিন পর চার ঘন্টার বৈঠকে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের নিরসন হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের উদ্যোগে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বিকেল তিনটা পর্যন্ত বৈঠক শেষে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছায় উভয় পক্ষ। এর পর আন্দোলন ও অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট তুলে নিয়ে বাজারের সমস্ত দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। বিকেল থেকে বাজারে শুরু হয়েছে বেচাকেনা।

দ্বিতীয় দিনে একই সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক ও আন্দোলন চলছিল সকাল থেকে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বাজারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন শত শত ব্যবসায়ী এবং সাধরাণ মানুষ। মানববন্ধন থেকে বাজারে জমাদ্দার বংশের আধিপত্য বিস্তার ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধের দাবি জানানো হয়।

এর আগে বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শুক্রবার (২৭জানুয়ারি) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত স্থানীয় ওই বাজারটির ব্যবসায়ী ও পার্শ্ববর্তী রায়েন্দা ইউনিয়নের জমাদ্দার বংশের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (২৮জানুয়ারি) সকাল থেকে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ঘোষনা দেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে সমঝোতা বৈঠক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, সাউথখালী ইউপির চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এম সাইফুল ইসলাম খোকন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন এবং জমাদ্দার বংশের নেতা ইউপি সদস্য শাহজাহান বাদল জমাদ্দারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তাফালবাড়ী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আ. রাজ্জাক মৃধা, সাধারণ সম্পাদক ওমর সরদার, ব্যবসায়ী নেতা পলাশ মাহামুদ বলেন, সমস্ত ব্যবসায়ী জমাদ্দার বংশের উচ্ছৃঙ্খল ও বখাটে বাহিনীর কাছে জিম্মি ছিল। সমঝোতা বৈঠকে পরবর্তীতে যদি কেউ এধরনের কোনো কর্মকান্ড ঘটান তাহলে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দেওয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উভয় পক্ষ এতে একমত হলে ধর্মঘর প্রত্যার করে বাজারের সকল দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়।

(এসএকে/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০১৩)