রিপন মারমা, রাঙ্গামাটি : কাপ্তাই ও রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকর্তৃক বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত হলেও এবার চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টীয়ান মিশন কুষ্ঠ হাসপাতালে কোন কর্মসূচি পালিত হয়নি। বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে আলাপ কালে চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতাল  পরিচালক প্রবীর খিয়াং ও ডাক্তার উইলিয়াম নিশ্চিত করেন এবার তাদের সংস্থা কর্তৃক  বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালন করা হয়নি। 

অপরদিকে কাপ্তাই ও রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ, এখনই কাজ শুরু করি, কুষ্ঠ রোগ নির্মূল করি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও রাঙ্গামাটি জেলা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃক বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে কাপ্তাই ও রাঙামাটি উপজেলা স্বাস্ব্য বিভাগের উদ্যোগে পৃথক পৃথকভাবে রবিবার (২৯জানুয়ারি) সকালে হাসপাতাল চত্বরে র‍্যালি ও এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এই কর্মসূচির আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন বিপাশ খিসা, কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মাসুদ আহমেদ চৌধুরীসহ অন্যান্য চিকিৎসক হাসপাতালের নার্স ও স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন,এখনও প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ৩৫০০-৪০০০ লোক নতুন করে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এদের মধ্যে প্রায় শতকরা ৮ ভাগ নারী-পুরুষ প্রতিবন্ধিতার শিকার হচ্ছে এবং এখনও কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তিগণ সামাজিক বৈষম্য, অপবাদ ও কুসংস্কারের শিকার হচ্ছে। তাই কুষ্ঠ রোগ সম্পূর্ণ উচ্ছেদ না হওয়া অবধি; অর্থাৎ কুষ্ঠরোগ, কুষ্ঠ সংক্রমণ, কুষ্ঠজনিত প্রতিবন্ধিত্ব এবং কুষ্ঠ আক্রান্তের প্রতি অপবাদ ও বৈষম্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে না আনা পর্যন্ত আমাদের সকলের একযোগে কাজ করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কুষ্ঠ মুক্ত হবে। এই লক্ষ্যে কুষ্ঠ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সবধরনের সেবাপ্রাপ্তি সহজতর করা ও হাসপাতাল থেকে সেবা প্রধানে আশ্বস্ত করেন এবং মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মীরা কুষ্ঠ ও প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।বাংলাদেশ থেকে কুষ্ঠ নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে লক্ষ্যেই দেশে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল বিভাগ কাজ করছে।

এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে এক্ষেত্রে সহযোগীতা ও এই রোগ সম্পর্কে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রচার-প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

(আরএম/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০১৩)